ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যশোরে ওসি-এসআইসহ ৯ জনের নামে হত্যা মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
যশোরে ওসি-এসআইসহ ৯ জনের নামে হত্যা মামলা

যশোর: যশোরের মণিরামপুরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এ মামলায় মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) নিহতের বাবা যশোর সদর উপজেলার ভায়না গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদুজ্জামান বাদী হয়ে যশোর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ২১ মার্চ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলার অভিযোগ করা হলেও ওই ধারায় মামলা গ্রহণ না করে আত্মহত্যা প্ররোচণার ধারায় মামলা রেকর্ড করার কারণে আসামিদের সহযোগী হিসেবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—নিহত নাওয়াল জামান ওরফে বর্ষার স্বামী মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের আরশীল কবীর, তার বাবা আজমত হোসেন, মা আসমা বেগম, একই গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মনিরুল ইসলাম, মনিরুলের স্ত্রী শিল্পি বেগম, এনায়েত মোল্লার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও উজ্জ্বল আহম্মেদের স্ত্রী ইরানী ফারজানা।

মামলায় বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মেয়ে নাওয়ালকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন কবীর। যা মেনে নেয়নি নাওয়ালের পরিবার। এ কারণে বিভিন্ন সময় নাওয়ালকে কবীরের পরিবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। যা মোবাইল ফোনে পরিবারকে জানায় নাওয়াল।

এরমাঝে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় আসামিরা (মেয়ে জামাইয়ের পরিবার) বাদীর পরিবারকে জানায়, নাওয়াল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদীর পরিবার মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। মুখ ও থুতনিতে জখমের চিহ্ন দেখা যায়। কিন্তু গলায় কোনো ফাঁসের দাগ ছিল না। এছাড়া আশপাশের লোকজনের কাছে শুনে অনুমান করেন নাওয়ালকে মারপিটের পর হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে কবীরের পরিবার। বিষয়টি বুঝতে পেরে নাওয়ালের মা নওশাবা তানবীন মণিরামপুর থানায় মেয়েকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। যার তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আতিকুজ্জামান।

অভিযোগটির সুষ্ঠু তদন্ত না করেই আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও থানায় হত্যা মামলা গ্রহণ না করে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা দায়ের করেন থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও এসআই আতিকুজ্জামান।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এসআই আতিকুজ্জামান এর আগে আসামিদের নিজ এলাকা নেহালপুরে ক্যাম্প ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শুধু তাই নয়, বাদীর মেয়েকে যখন প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপরহরণ করেছিল কবীর, সে সময়ও এসআই আতিকুজ্জামান সহযোগিতা করেছিলেন। বর্তমানে সকল আসামি ময়না তদন্তের রিপোর্টকে হত্যার পরিবর্তে আত্মহত্যায় রূপান্তরিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের মোবাইলে কল করা হলে তিনি কলটি কেটে দেওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।