ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মামির সঙ্গে পরকীয়া, যুবকের কব্জি বিচ্ছিন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
মামির সঙ্গে পরকীয়া, যুবকের কব্জি বিচ্ছিন্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ আপন মামির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আহত রুবেল হোসেন চাকপাড়া গ্রামের মৃত মতিবুর রহমানের ছেলে।

রুবেল হোসেনের মা মুক্তারা খাতুনের দাবি, মামিকে নিয়ে পালানোর অপরাধে মামির পরিবার এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি জানান, ধোবড়া এলাকার এমেলি খাতুনের সঙ্গে রুবেল হোসেনের সম্পর্ক ছিল। এটা মেনে নিতে পারেনি এমেলির পরিবার। আজ (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে রুবেল ট্রলিভর্তি গম নিয়ে সোনামসজিদ থেকে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। এসময় এমেলির পরিবারের লোকজন রুবেলকে গাড়ি থেকে তুলে গোড়াদহ বিলে নিয়ে তাকে বেঁধে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে।

এদিকে, আহত রুবেলকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

ধোবড়া এলাকার স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আ. রশিদ জানান, প্রায় ৮ বছর আগে চাকপাড়া গ্রামের রুবেলের মামা রশিদের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ধোবড়া গ্রামের একরামুলের মেয়ে এমেলি খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২টি সন্তান রয়েছে। দুই সন্তানকে রেখেই একই এলাকার ট্রলি চালক রুবেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এমেলি। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করার পর রুবেল হামলার স্বীকার হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এইচ এম মাসুম শিমুল জানান, ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জরুরীভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আহত রুবেলের মা আরও জানান, প্রায় দেড় মাস আগে তার ছেলে রুবেল তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এমেলি খাতুনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তারা বিয়ে করে এবং এমেলি তার স্বামীকে তালাক দিয়ে চলতি সপ্তাহে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু এমেলির পরিবার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।

রুবেলের ছোট ভাই লিটন জানান, তার ভাইয়ের সঙ্গে তার মামির সর্ম্পকটি মেনে নিতে পারেনি মামীর বাবা একরামুল ও তার স্বজনরা। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ জানান,পরকীয়ার কারণে এমেলির পরিবারের লোকজন রুবেলের হাত কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।