ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদকে সামনে রেখে জামদানি পল্লীর ব্যস্ততা তুঙ্গে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
ঈদকে সামনে রেখে জামদানি পল্লীর ব্যস্ততা তুঙ্গে

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে দেশের একমাত্র জামদানি পল্লী। বংশ পরম্পরায় এ ঐতিহ্যববাহী পোশাক শিল্পের শিল্পী তৈরি হয় পরিবারের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকেই।

ভিন্ন ধরনের শাড়ি তৈরিতে আংশিক বা পুরোপুরি যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হলেও জামদানি তৈরি হয় তাঁতে। ঈদকে সামনে রেখে জামদানি পল্লী এবার বেশ জমজমাট। বর্তমান বাজারে জামদানি শাড়ির চাহিদাও বেশি। তাই শেষ সময়ে রাত-দিন কাজ করছেন তারা।

জামদানির জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া গ্রামে। তবে জামদানি পল্লী বিস্তৃত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের আরও অনেক জনপদে। জামদানি বলতেই শাড়ির যে প্রচলিত ধারণা ছিল, এখন তার পাশাপাশি সালোয়ার কামিজ ও ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবিও তৈরি করা হচ্ছে। যার চাহিদাও রয়েছে বাজারে। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার তাঁতীরা। দিন-রাত শ্রম দিয়ে তৈরি করছেন জামদানিসহ সালোয়ার কামিজ ও পাঞ্জাবি।

দেশ ও দেশের বাইর থেকে জামদানি কিনতে রূপগঞ্জ আসছেন ক্রেতারা। বিভিন্ন দামের জামদানি কিনে খুশি তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে তাদের বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। দুই হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা মুল্যের জামদানি শাড়ি তৈরি হয় এখানকার তাঁতগুলোতে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে অনলাইনে সরাসরি তাঁত থেকে শাড়ি কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন তারা।

রূপগঞ্জে বিসিক শিল্প নগরীর জামদানি শিল্পনগরী কর্মকর্তা বায়েজিদ হোসেন জানান, একটি সময় জামদানি শুধু সমাজের এলিট শ্রেণি মানুষের পণ্য ছিল, এখন জামদানি সবাই পড়ে। দিন দিন নারীদের কাছে জামদানির চাহিদা বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
এমআরপি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।