ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মোড়ে মোড়ে জটলা, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট যানজট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
মোড়ে মোড়ে জটলা, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট যানজট

ঢাকা: পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন পার হচ্ছে; সারা দিন পর অফিস শেষ হওয়ায় পেশাজীবী মানুষরা বিকেলে বাড়ি ফিরছেন। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো ব্যস্তে হয়ে উঠেছে।

যে যার মতো বাড়ি ফেরার রাজধানীর অফিস এলাকার মোড়গুলোয় জটলা লেগেছে। মূল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানী মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরা, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মালিবাগ, মগবাজার, সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী এলাকায় মোড়ে মোড়ে জটলা ও মূল সড়কে যানজটের খবর পাওয়া গেছে।

এ অবস্থায় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না। সড়কগুলোয় যানজট নিরসনে ট্রাফিক সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পুলিশের ক্রাইম ডিভিশনের সদস্যরাও।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত সদস্যরা বলছেন, রোজার মাসে প্রায় একই সময়ে সবার অফিস শেষ হয়। তাই অফিস থেকে সবাই একসঙ্গে বের হয়ে পড়ে। সবারই বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে। ফলে সড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়। রাজধানীতে পর্যাপ্ত সড়ক না থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে মূল সড়ক সংযুক্ত মোড়গুলোতেও জটলা লেগে থাকে।

তা ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। কিছু জায়গায় সড়ক উন্নয়নের কাজও করছে বিভিন্ন সেবা দানকারী সংস্থা। ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এতে যানবাহনের চলাচলেও ধীরগতি দেখা যায়। যাত্রী-পথচারী, যানবাহন চালকরা ট্রাফিক আইন মেনে চলেন না। তাদের ক্ষণে ক্ষণে আইন ভঙ্গের কারণেও যানজট সৃষ্টি হয়।

কারওয়ান বাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আল-আমীন। তার বাসা নতুনবাজার এলাকায়। রোজায় বিকেল ৩টায় অফিস শেষ করে তাকে বাড়ি ফিরতে হয়। কিন্তু জ্যামের কারণে সময় মতো বাসায় ফিরতে পারেন না তিনি। দেরি হলে রাস্তার কোথাও দাঁড়িয়ে ইফতার করতে হয়। তিনি বলেন, রাজধানীতে যে পরিমাণ যানবাহন রয়েছে, সেগুলো চলাচলের জন্য তো রাস্তা নেই। যানজট নিরসনের জন্য হয় রাস্তা বাড়াতে হবে, নয়ত যানবাহন কমাতে হবে। তা ছাড়া যানজট কমানোর উপায় নেই।

অভিযোগ উঠেছে, বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়কে গণপরিবহনগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। সরেজমিনেও তা-ই দেখা গেছে। যত্রতত্র পরিবহন থেকে যাত্রী তোলা-নামানো করছে বাস চালক-হেলপাররা। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে প্যাসেঞ্জার তোলা-নামানো করা হচ্ছে। একটি বাস আরেকটি বাসতে জায়গা দিতে চায় না। সামনে দুই তিনটি বাসের জন্য পেছনে দীর্ঘ জট লেগে যাচ্ছে।

রাজধানীতে লেন চালু থাকলেও কোনো চালক তা মানছেন না। দোকান, প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের কারণে ফুটপাথ ব্যবহার করতে না পেরে বাধ্য হয়ে পথচারীদের বাধ্য রাস্তায় হাঁটতে হচ্ছে। এতে তাদের জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলেন, বাস মালিক, চালক, হেলপারদের নৈতিক স্খলনের কারণে সাধারণ মানুষকে ঝক্কি পোহাতে হয়। নৈতিকতা নেই সংশ্লিষ্ট সংগঠন, সমিতি ও কমিটির। যে কারণেই যে যার মতো ইচ্ছা রাস্তা ব্যবহার করছেন। ফুটপাতের জায়গা মেরে খাচ্ছেন।

এসব ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রমজানে যাতে রাজধানীর সড়কগুলোয় যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি। রাস্তায় যাতে অবৈধ গাড়ি পার্কিং না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়তি ফোর্সও রাখা হয়েছে। রমজানে ঘরমুখো মানুষের কোনো কষ্ট যাতে না হয়; আমরা সে ব্যাপারে সচেষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
এসজেএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।