ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রথম আলোর প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পীদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
প্রথম আলোর প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পীদের প্রতিবাদ

ঢাকা: দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশিষ্ট অভিনয় শিল্পীরা বলেছেন, ২৬ মার্চ কোন বাঙালির জন্য নিছক একটি তারিখ নয়। কারণ, এই দিনেই বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

এই স্বাধীনতা কেউ আমাদের সোনার থালায় করে তুলে দিয়ে যায়নি। আর এই দিনটিকেই একটি কুচক্রী মহল বেছে নিয়েছে জঘন্য মিথ্যাচারের জন্য।

এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম, অগণিত মুক্তিযোদ্ধাদের বলিদানের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের আত্মত্যাগের ফসল এই স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবস আমাদের আত্মমর্যাদার কীর্তিস্তম্ভ।

আর এই দিনটিকেই একটি কুচক্রী মহল বেছে নিয়েছে জঘন্য মিথ্যাচারের জন্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারি, বৈশ্বিক খাদ্য সংকট, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট ও বৈশ্বিক মাইক্রোচিপ সংকটের কারণে সমগ্র পৃথিবীতেই এই মুহূর্তে এক টালমাটাল অবস্থা। বাংলাদেশও এই সংকটের বাইরে নয়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন এই ক্রান্তিকালের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই করে যাচ্ছেন–ঠিক সেই সময়ই একটি কুচক্রী গোষ্ঠী আবারও ফণা তুলে দাঁড়িয়েছে।

অভিনয় শিল্পীরা আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো সম্প্রতি আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে একটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একটি অবুঝ শিশুর ছবি ব্যবহার করে তাঁর সাথে মনগড়া এক দিনমজুরের নাম জুড়ে দিয়ে তাঁরা একটি মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা শুধু সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থি নয় বরং মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা। একটি অবুঝ শিশুকে ব্যবহার করে মনগড়া ভাষায় লেখা প্রতিবেদনটি হলুদ সাংবাদিকতার এক জঘন্যতম নজীর এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

‘দৈনিক প্রথম আলো’র এই নৈতিকতা বহির্ভূত প্রতিবেদনটি ১৯৭৪ সালের বাসন্তী নাটকেরই একটি ধারাবাহিকতা। ৭৪-এ স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হাতিয়ার ছিল বাসন্তী, আজ সেই চক্রের হাতিয়ার জনৈক ‘জাকির’ যার আদৌ কোন অস্তিত্ব আছে কিনা সন্দেহ। এই প্রতিবেদন মহান স্বাধীনতা দিবসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি অপচেষ্টা এবং বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার একটি ষড়যন্ত্র।

অভিনয় শিল্পীদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার নাম মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়। সুগভীর ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে দেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে  নষ্ট করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়। একটি কোমলমতি শিশুকে ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিল করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়। কোন সাংবাদিক ভূমির প্রচলিত আইনের ঊর্ধ্বে নয় । আমরা দৈনিক প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই মিথ্যা প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখবার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা আশা করছি সরকার এই কুচক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি কার্যকলাপ শুরু করবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কুচক্রী মহল আর কোনদিনও যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু!

বিবৃতি পাঠানো বিশিষ্ট শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন— আসাদুজ্জামান নূর, সুবর্ণা মুস্তাফা, আলমগীর হোসেন, অরুণা বিশ্বাস, শমী কায়সার, রিয়াজ আহমেদ, ফেরদৌস আহমেদ, নিপুন আক্তার, তানভিন সুইটি বেগম, বিজরী বরকতুল্লাহ, দীপা খন্দকার, তারিন জাহান, মীর সাব্বির, সাইমন সাদিক, মামনুন হাসান ইমন, ফারজানা চুমকী, শামীমা তুষ্টি ও শাহনূর।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।