ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মা পাড়ি দেবে রেল!

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
পদ্মা পাড়ি দেবে রেল!

মাদারীপুর: পদ্মা পাড়ি দেবে রেল! মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে শিবচরের দুটি স্টেশন হয়ে পদ্মা রেলসেতু পার হয়ে মাওয়া পর্যন্ত যাবে রেল। তাই ভাঙ্গা স্টেশন থেকে মাওয়া পর্যন্ত রয়েছে সাজ সাজ রব।

স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস। রয়েছে উৎসবমূখর পরিবেশ।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুর রেলসেতু পাড়ি দেবে আজ। মূল সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারসহ দুই পাশের ভায়াডাক্ট মিলিয়ে পাথরবিহীন ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার পদ্মা রেল সেতুর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয় গত বুধবার।  

গত বছরের ২০ আগস্ট মূল সেতুতে রেল লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার রেলপথে পাথরবিহীন রেলপথ ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার ও ২৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার পাথরযুক্ত রেললাইন। এই রেলপথে একটি জংশন, ৪টি স্টেশন রয়েছে।  

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিক একটি গ্যাংকার প্রথম যাবে এরপর সাতটি বগির একটি ট্রেন যাবে পদ্মা রেলসেতু হয়ে মাওয়া। এর যাত্রী হবে রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী এমপিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।  

প্রকল্পের মোট ১৭২ কিলোমিটার লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথে ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস এবং ১৩টি রেলসেতুর কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দুই পাশের স্টেশন নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে।  

প্রকৌশলী সূত্র বলছে, পুরো প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হলেও ঢাকা-ভাঙ্গা এই অংশের কাজ চলতি বছরই শেষ হবে। পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। নতুন রেলপথে যাতায়াতে রাজধানী ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল সংযোগ প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেতুতে যানবাহন চালু রেখেই নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ। গত বছরের ২০ আগস্ট সেতুতে রেললাইন স্থাপনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তবে বিভিন্ন জটিলতায় পুরোদমে কাজ শুরু হয় নভেম্বরে। সিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্টের (সিএসসি) তত্ত্বাবধানে চলছে পদ্মা সেতুর এই রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ।

রেলওয়ের মাস্টার রবিউল ইসলাম জানান, নতুন ইঞ্জিন আর নতুন বগির এই ট্রেন আজ যাবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে। আমরা এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। আজ আমরা অনেক আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এমন একটি স্বপ্ন জয়ের যাত্রার জন্য।

পদ্মা সেতু রেলওয়ে প্রকল্প ট্রাক ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী জানান, আজ ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেলওয়ে ট্রায়াল সম্পন্ন হবে। দুটি ইঞ্জিনবিশিষ্ট সাত বগির একটি ট্রেনসহ দুইটি ট্রেন ট্রায়ালে থাকবে। মন্ত্রী মহোদয়সহ অতিথিরা ট্রায়াল উদ্বোধন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।