গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় এক বাঘাইড় ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। মাছটির ওজন ৩১ কেজি।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ মোড়ে বাঘাইড় মাছটি ক্রয় করেন উৎসুক ক্রেতারা।
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে জেলেদের জালে রোববার (২ এপ্রিল) আটকা পড়ে বিশালাকার মাছটি। দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি হয়নি মাছটি।
ফুলছড়ি উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান ও আশিকুর ইসলাম মাছটি বিক্রির জন্য নিয়েন আসেন। দরদাম শেষে মাছটি ৭০০ টাকা কেজিতে ক্রয় করেন পৌর এলাকার বাসিন্দা মনজুর কাদির মুকুল ও ফিরোজ কবীর সুমনসহ ১৮ জন।
এর আগে, রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের খাটিমারি চরের অদুরে বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছটি জেলের জালে ধরা পড়ে।
এদিকে, বিশাল আকৃতির মাছটি দেখতে সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। এ সময় অনেকে মাছটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে দরদাম করেন। আবার অনেকে ওই মাছের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দেন।
কঞ্চিপাড়ার ভাসারপাড়ার জেলে সচিন দাস জানান, প্রতিদিনের মতো ছৈমুদ্দিন ও জয়নালসহ কয়েকজন মিলে ব্রক্ষপুত্র নদে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। দুপুরে হঠাৎ করে জালে আটকা পড়ে বিশাল আকৃতির বাঘাইড় মাছটি। ৩১ কেজি ওজনের মাছটির দাম বেশি হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও ক্রেতারা বেশি দাম করণেও কিনতে পারছিলেন না। পরে মাছটি স্থানীয় আব্দুস সোবহান নামে এক মাছ ব্যবসায়ী মাছটি কিনে নিয়ে বিক্রির জন্য পলাশবাড়ীতে যান।
এ সময় অনেক ক্রেতাই মাছটির বিভিন্ন দরদাম করেন। পরে মাছটি পৌর এলাকার মুকুল মিয়া ও ফিরোজ কবীর সুমন মিয়াসহ ১৮ জন মিলে ২১ হাজার ৭০০ টাকায় কিনে নেন।
বিশাল আকৃতির এ মাছ ক্রয়কারীদের মধ্যে ফিরোজ কবীর সুমন বলেন, মাছটি দেখেই কেনার আগ্রহ হয়। কিন্তু একাই মাছটি কেনার মতো তার সামর্থ নেই। এমনকি এই মাছটি মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তদের কেনা অসম্ভব। পরে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মাছটি ২১ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করি। পরে মাছটি কেটে ওজন করে সবাই ভাগ করে নেই।
অপর ক্রেতা মনজুর কাদির মুকুল জানান, আগের মতো বাজারে বোয়াল, আইড় ও বাঘাইড় মাছ চোখে পড়ে না। ৩১ কেজি ওজনের মাছটি ক্রয় করে আমরা খুশি। ৭০০ টাকা কেজিতে ক্রয় করা মাছটি আমরা ভাগ করে নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
এসএম