পটুয়াখালী: পটুয়াখালী কলাপাড়ায় আলোচিত দোলন গাজীর হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে নিহতের দুই অবুঝ সন্তান আরাফাত (৬) ও আদনান (৩ মাস)।
মায়ের কোলে ও দাদির হাত ধরে বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়ের লোন্দাবাজারে এই মানববন্ধনে আত্মীয়, স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে তারাও দাঁড়িয়ে থাকে।
এছাড়াও নিহতের মা তাসলিমা বেগম (৫৬), স্ত্রী আলপনা বেগম, দুই শিশু সন্তান, ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার ও সদস্য দেলোয়ার হোসেনসহ আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৩ মার্চ মধ্যে রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালী মৃত ফোরকান গাজীর ছেলে দোলন গাজী নিখোঁজ হন। নিহত দোলন গাজী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরে গত (১৫ মার্চ) বুধবার দুপুরে উপজেলার ধানখালী ইউপির লোন্দা গ্রামে পায়রা আবসন সংলগ্ন একটি খালের কচুরিপানার নিচ থেকে দোলন গাজী মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এই হত্যার ঘটনায় গত ১৬ মার্চ নিহত দোলন গাজীর মা তাসলিমা বেগম (৫৬) বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামির উল্লেখ করে কলাপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ এজাহারে উল্লেখিত চারজনসহ সন্দেহভাজন হুমায়ন মৃধা নামে একজনকে আটক করলে, তাকে আদালতে স্বীকারোক্তির পরে জেল হাজতে পাঠায়।
তবে, হুমায়ুন মৃধার স্বীকারোক্তির পরেও হত্যার সঙ্গে জড়িতরা এখনও আটক না হওয়ায়, পরিবার ও এলাকাবাসী প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৫ই মার্চ দোলান গাজীকে হত্যা করে লোন্দা গ্রামে পায়রা আবসন সংলগ্ন একটি খালের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে । হত্যাকাণ্ডের এতদিন পরেও মূলহোতাকে পুলিশ এখনো আটক করতে নাই। তাই আমরা মূল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম জানান, দোলন গাজী হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪জন এজাহারনামীয় এবং হুমায়ুন নামে একজন সন্দেহভাজন আটক করা হয়েছে। হুমায়ুনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তদন্ত ও জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩
এসএ