ঢাকা: চলতি বছরে নারী-শিশুর দুরারোগ্য রোগ, বার্ধক্যজনিত চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তা হিসাবে ৮২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণ তহবিল থেকে এ অর্থ দেওয়া হবে।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির ২৪তম সভায় অনুদানের জন্য চলমান অর্থবছরে প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনা করে এ অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্ব্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টির সহ সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, ট্রাস্টির সদস্য অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভিডাব্লউবি কর্মসূচির মাধ্যমে ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির থেকে ১২ লাখ ৫৪ হাজার মাকে প্রতি মাসে ৮শ টাকা ভাতা দিয়েছে। এছাড়া নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ অর্থবছরে প্রাপ্ত ২ হাজার ৫শ ৮৪টি আবেদনের মধ্যে দুরাগ্য রোগে ৫০ জনকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বার্ধক্যজনিত রোগের জন্য ৬০ জনকে ৯ লাখ টাকা, সাধারণ চিকিৎসায় ১৪০ জনকে ১৪ লাখ টাকা, শিক্ষার জন্য ৬৯ জনকে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আর্থিক/অন্যান্য ৮০১ জনকে ৪০ লাখ পাঁচ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সর্বমোট ১ হাজার ১শ ২০ জনকে ৮২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
অনুদান প্রাপ্তরা নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অনুদানের চেক নেবেন।
সভায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুদান প্রাপ্তদের কাছে অনুদানের চেক দেওয়ার নির্দেশ দেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য বাংলাদেশ মহিলা সমিতির প্রতিনিধি সেলিনা খালেক, কন্যাশিশু এ্যাডোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি, অপরাজেয় বাংলার নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, হোসেন আরা সিদ্দিকি জুলি ও রওশন জাহান সাথী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩
জিসিজি/এএটি
