ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কেরানীগঞ্জের বিআরটিএর অফিসে দুদকের অভিযান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
কেরানীগঞ্জের বিআরটিএর অফিসে দুদকের অভিযান

ঢাকা: গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস চেক ও সনদ দেওয়া বাবদ দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবি ও হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়ায় শাখায় অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৫ এপ্রিল) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস চেক ও সনদ দেওয়া বাবদ দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবি ও হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিমের সদস্যরা প্রথমে ছদ্মবেশে অফিসের সামগ্রিক সেবা দেওয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে। বিআরটিএ অফিস প্রাঙ্গণে বেশ কয়েকজন দালাল অর্থের বিনিময়ে সব সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। নিরাপত্তা প্রহরী এবং আনসার সদস্যদের মধ্যেও ঘুষের বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার চিত্র দেখা গেছে। কয়েকজন সেবাপ্রার্থী দালালদের দৌরাত্ম্য, অব্যবস্থাপনা এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

পরে টিম উক্ত কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার টিমের অভিযোগ স্বীকার করে নেন এবং জনবল সংকটকে সমস্যার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। হয়রানি দূরীকরণ ও গ্রাহক সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে এনফোর্সমেন্ট টিম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কর্মচারী, আনসার সদস্য ও নিরাপত্তারক্ষীদের পর্যবেক্ষণে রাখা, দালালদের বিরুদ্ধে বিআরটিএ কর্তৃক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়। বিআরটিএ অফিস প্রধান ঘুষ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমকে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস দেন।

এদিকে বরগুনার শ্রমিক সরদার ও ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা, আমতলীর বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ধান চাল গুদাম জাতের  শ্রমিকদের দৈনিক মজুরির ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় পটুয়াখালী হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগে উল্লিখিত আমতলী উপজেলা খাদ্য গুদামে পরিদর্শন করে। পরিদর্শন আগে টিম আমতলী ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা, শ্রমিক সরদার, ঠিকাদার এবং দৈবচয়ন ভিত্তিতে একজন মিলার প্রতিনিধি ও দুজন শ্রমিকের বক্তব্য শ্রবণ করে এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। অভিযান পরিচালনাকালে অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়নি।

অন্যদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, আমতলী বগুড়া এর বিরুদ্ধে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মাটি কাটার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শ্রমিকদের সঠিকভাবে না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়, বগুড়া থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এতে হিসাব নম্বরের ত্রুটির কারণে অনেকেই টাকা পাননি। ত্রুটি সংশোধন করে টাকা পাবেন বলেও টিমকে জানানো হয়। অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।