ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া গুচ্ছ গ্রামের ২০টি টিনের ঘর বিক্রি করার অভিযোগে তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া দলনেতা) জনগোষ্ঠীর কথিত গুরু মা রুবী বেগম ওরফে রুবেলকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (১১ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক রুবীকে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ১৬ নম্বর নারগুন ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হাসান আলী বাদী হয়ে সরকারি ঘর বিক্রি করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। রোববার (০৯ এপ্রিল) দিনগত রাতে রুবেল ওরফে রুবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম নারগুন ইক্ষু খামার এলাকায় ২০১৯ সালে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর মানুষের পুনর্বাসনে সরকার টিনের বাড়ি তৈরি করে দিয়েছিল। এরপর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তাদের সেমিপাকা বাড়িও দেওয়া হয়। ঘরগুলো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হলেও ঘরগুলো ফাঁকা পড়েছিল। এদিকে পরবর্তীতে তাদের দলনেতা রুবেল গুচ্ছগ্রামের ২০টি ঘর রাতের আধারে বিক্রি করে দেন। এতে রাতারাতি ঘরগুলো গায়েব হয়ে গেলে প্রশাসনের টনক নড়ে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, সরকারি ঘর বিক্রি করে দেওয়া ফৌজদারী অপরাধ। এ ঘটনায় মামলা দেওয়া হলে পুলিশ আপাতত একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
এ ছাড়া এই ঘটনার সঠিক তথ্য উদঘাটনে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা তাসনিমকে প্রধান করে তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এফআর