ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি-পুকুর খননের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি-পুকুর খননের অভিযোগ ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি

মেহেরপুর: প্রভাব খাটিয়ে রাতের আঁধারে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়ার গুচ্ছ গ্রামে তিন ফসলি জমি থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে টুটুল মোল্লার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।  

গতকাল সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

এছাড়া নিজেদের ফসলি জমি বাঁচাতে  প্রতিকার চেয়ে গাংনী ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরাও।

এ ব্যাপারে গাংনী ইউএনও সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু বাংলানিউজকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমিকে) ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়ার গুচ্ছ গ্রামের খয়েরতলার মাঠের মাঝখানে ওই গ্রামের হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে টুটুল মোল্লা জোর করে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে জমিতে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। মাটি কাটার কারণে আশপাশের ফসলি জমিও হুমকির মুখে পড়েছে।

বেতবাড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, টুটুল মোল্লা অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি খনন করে পুকুর খনন করছেন। আর খননকৃত সেই মাটি পার্শ্ববর্তী ইটভাটায় বিক্রি করছেন।  

তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুকুর খননের ফলে আমার জমিসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জমি ধসে পুকুরে নেমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে আমার প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।  

আলাউদ্দিন ও নবীর উদ্দিন জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন টুটুল মোল্লা। অবৈধভাবে মাটি খননের ফলে ফুঁসে উঠছেন গ্রামবাসী। যে কোনো সময় টুটুল ও তার লোকজনের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে।  

অভিযুক্ত টুটুল মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, লিখিত আবেদন করে নয়, আমি স্থানীয় কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সঙ্গে কথা বলেই মাটি খনন কাজ শুরু করেছি।  

তবে কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মু. আলম হোসাইন বলেন, টুটুল মোল্লাকে মৌখিক বা লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাটি বিক্রির কারণে দিন দিন ফসলি জমির উর্বরতা হারাচ্ছে। বিষয়টির প্রতি প্রশাসনের নজরদারী আশা করছি।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, টুটুল মোল্লাকে তার উঁচু-নিচু জমি সমান করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন গ্রামবাসী অভিযোগ করছেন- টুটুল পুকুর কাটছেন। গ্রামবাসীর অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।