ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

একজনের খেলাপির টাকায় বাঁচবে সারা দেশের কৃষক: বাগেরহাটের ডিসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
একজনের খেলাপির টাকায় বাঁচবে সারা দেশের কৃষক: বাগেরহাটের ডিসি

বাগেরহাট: যারা বড় বড় শিল্প কল-কারখানার মালিক তারা হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নেন। তাদের মধ্যে অনেকে ঋণ খেলাপি হন।

তাদের একজনের খেলাপির টাকায় সারা দেশের কৃষক বাঁচবে বলে মনে করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

বুধবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী কৃষি ঋণ মেলা ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কৃষি ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কৃষক ঋণ পাচ্ছে কোথায়। কৃষকদের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি সহজ করতে প্রধানমন্ত্রী সকল ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা ও বরাদ্দ দিয়েছেন। ব্যাংকগুলো এখন কৃষকদের মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছেন। এ ঋণে প্রান্তিক কৃষকরা উপকৃত হবেন।

অগ্রণী ব্যাংক লি. বাগেরহাট অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মানস কুমার পালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজ আল আসাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক অমর কুমার দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি উদ্যোক্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুই দিনব্যাপী এ মেলায় বাগেরহাটে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, অগ্রণী ব্যাংকসহ ২২টি ব্যাংক অংশগ্রহণ করেছে।  

এই দুই দিনে কৃষি, মৎস্য, পল্টিখামার, গবাদী পশু লালন-পালনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ থেকে ৯শতাংশ পর্যন্ত সহজ শর্তে একদিনের মধ্যে উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হবে। প্রথম দিনে ১৭১ জন কৃষি উদ্যোক্তাকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথি ও কৃষি উদ্যোক্তারা মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।

ভোগান্তি ছাড়া ঋণ পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আবুল হোসেন নামের এক কৃষি উদ্যোক্তা বলেন, ঋণ নিতে গেলে বাংকের নানা প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয়। কাগজপত্র জোগার করতেই অনেক বেগ পেতে হয়। কিন্তু চার শতাংশ সুদে কৃষি ঋণ নিলাম কোনো হয়রানি ও জামানত ছাড়াই। এই ধরণের ঋণ সুবিধা চালু থাকলে কৃষকদের আর্থিক উন্নতি হবে বলে দাবি করেন এ কৃষক।

বাগেরহাট জেলা কৃষি ঋণ বিতরণ কমিটির সদস্যসচিব অগ্রণী ব্যাংক লি. বাগেরহাট অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মানস কুমার পাল বলেন, কৃষকরা যাতে ভোগান্তি ছাড়া ঋণ পেতে পারে এ জন্য আমাদের এই আয়োজন। এই মেলার মাধ্যমে প্রতিটি কৃষক ও সাধারণ মানুষকে জানাতে চাই নিয়ম মেনে চলতে ঋণ পেতে কোনো ভোগান্তি হবে। আশাকরি এই দুইদিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষি উদ্যোক্তাকে ঋণ বিতরণ করতে পারব।

বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঋণ মেলার সমাপনী হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।