ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই

ঢাকা: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে নিজের প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য  নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

ডা. জাফরুল্লাহর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. মামুন মোস্তাফী মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের জানাচ্ছি, আমাদের প্রাণপ্রিয় বড় ভাই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর আমাদের মাঝে নেই। আপনাদের সবার কাছে আমার নিবেদন, আপনারা তার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।

গত কয়েকদিন ধরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নানা রোগে আক্রান্ত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক। সোমবার থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮১ বছর।

জাফরুল্লাহর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। পিতামাতার ১০ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেন।

এরপর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে আসেন। ফিরে এসে ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।  

তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দেন, যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন। তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার ল্যানসেতে প্রকাশিত হয়।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পান।  

এ ছাড়া তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) ও সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাইভলিহুড (১৯৯২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পান।

বাংলাদেশ সময়:২৩৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
আরকেআর/এনবি/এমএমজেড/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।