ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চাপ বেড়েছে ঘরমুখো ঈদযাত্রীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
চাপ বেড়েছে ঘরমুখো ঈদযাত্রীদের

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর এলাকায় বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে রাজধানী ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের বাড়ি ফেরা শুরু হলেও বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর দুরপাল্লার বাস কাউন্টারে যাত্রীর চাপ দেখা গেছে।

আব্দুল্লাহপুরে এনা পরিবহনের বাস কাউন্টারের সামে দাঁড়িয়ে ছিলেন একজন যাত্রী। তার সঙ্গে ছিলো বেশ কয়েকটি ব্যগ ও লাগেজ। কথা বলে তার নাম জানা যায়, মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি উত্তরার একটি স্টেশনারি স্টোরে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের শরিবারি মিঠাপুকুর থানায়।

আতিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বছরে দুই ঈদের ছুটিতে আমার বাড়ি যাওয়া হয়। আমার পরিবারের সবাই গ্রামে থাকেন। কিন্তু এবার আমার স্ত্রী ঢাকা কেমন তা দেখতে এসেছিলেন। তাই রমজানের আগে সে ঢাকায় আসেন। এখন ঈদের ছুটিতে আমরা বাড়ি যাচ্ছি। তাই এনা পরিবহনে দুটি টিকেট কেটেছি ১ হাজার ৬৬০ টাকা দিয়ে (প্রতি টিকেট ৮৩০ টাকা)।  

টিকেটের দাম এ বছর কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর ৭০০ টাকা করে টিকিট কিনেছিলাম। এবছর ৮৩০ টাকা।

হানিফ কাউন্টারে সামনে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন, রমিজ উদ্দিন। তিনি সিলেট যাবেন। তার সঙ্গে আরও দুইজন। তিনি জানান, ভালোভাবে বাড়ি পৌঁছাতে পারলেই হলো। যে গরম পড়েছে ঢাকায়, যত দ্রুত ঢাকা ছাড়তে পারি ততই আরাম৷

আব্দুল্লাহপুর এলাকায় বাস কাউন্টারের সুপারভাইজাররা বলেন, এ বছর যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। গত বছর অনেক যাত্রীর চাপ ছিলো। তাবে গতকাল থেকে আজ যাত্রীর চাপ বেড়েছে৷

আব্দুল্লাহপুরে এনা পরিবহনের কাউন্টারম্যান সাদ্দাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর যাত্রীর চাপ নেই৷ গতব ছর ১৫ রোজায় যাত্রীদের চাপ সামলাতে পারিনি কিন্তু এ বছর ২৭ রোজায়ও যাত্রীর চাপ নেই৷

তিনি বলেন, আমাদের এনা পরিবহনের সিলেটের ভাড়া ৬৮০ টাকা, সুনামগঞ্জে ভাড়া ৮২০ টাকা, হবিগঞ্জের ভাড়া ৪৬০ টাকা, বিয়ানীবাজারের ভাড়া ৭৯০ টাকা, মৌলভী বাজার ও শ্রীমঙ্গলের ভাড়া ৫৭০ টাকা, খুলনার ভাড়া ৬৫০ টাকা, বরিশালের ভাড়া ৬০০ টাকা।

এখানে কোনো যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। কারণ আমাদের অনেক বাসের সিট খালি যাচ্ছে।

তবে আশা করছি বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) থেকে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
এসজেএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।