ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বৈরী আবহাওয়া, আধপাকা ধান কাটছেন কৃষকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
বৈরী আবহাওয়া, আধপাকা ধান কাটছেন কৃষকরা

লালমনিরহাট: বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষতির শঙ্কায় আগাম আধা পাকা বোরো ধান কাটতে শুরু করেছেন লালমনিরহাটের কৃষকরা।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলার কিছু কিছু এলাকায় হালকা ধরনের শিলা বৃষ্টি হলে ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয় কৃষকের মধ্যে।

যে কারণে সময়ের আগেই তারা ধান কেটে ঘরে তুলছেন।

জানা গেছে, জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে লালমনিরহাটের কৃষকদের উৎপাদিত বোরো ধান সারা দেশে চলে যায়। প্রথম দিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর বোরো ধানের চাষাবাদ ও ফলন বেড়েছে। সার ও সেচ খরচ বাড়ায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে কয়েকগুণ। জেলার চাষিদের উৎপাদিত বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। সপ্তাহ খানেক পরে পুরোদমে ধান মাড়াই শুরু হতে পারে জেলায়।

এরই মধ্যে রোববার ভোরে বাতাসসহ আকাশ মেঘে ছেয়ে যায়। মুশল ধারায় বৃষ্টি হয় অন্তত ত্রিশ মিনিট। জেলার কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে হালকা শিলাও ঝরেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, শিলার কারণে তাদের আধপাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। পুরোপুরি ক্ষতি যাতে না হয়, সে জন্য আগেই তারা ধান কেটে ফেলছেন।

কৃষকরা জানান, প্রতি বছর বৈশাখ শুরু আগে বা প্রথম সপ্তাহে কালবৈশাখীর আঘাত আসে। এ বছর এখন পর্যন্ত হয়নি। তবে হতে পারে। এ মুহূর্তে শিলাবৃষ্টি বা কালবৈশাখী আঘাত হানলে সব ধান নষ্ট হবে। উৎপাদন খরচ তো দুরের কথা পরিবারের খাদ্য যোগানো কষ্টকর হবে। যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, এখন ধান কেটে নিলে উৎপাদন সামান্য কমতে পারে। কিন্তু শিলাবৃষ্টি বা কালবৈশাখী হলে ধান ঘরে তোলা যাবে না।

কমলাবাড়ি বামনের বাসা এলাকার কৃষক শংকর রায় বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত বড় ধরনে কোনো বিপদ আসেনি। কয়েকদিন ধরে আকাশের অবস্থাও ভালো না। বড় বিপদ আসার আগেই আধপাকা হলেও ধান ঘরে তুলছি। এতে সামান্য উৎপাদন কম হবে। তবুও চলবে। কিন্তু শিলাবৃষ্টি বা কালবৈশাখী ঝড় হলে তো একটি ধানও পাওয়া যাবে না।

মহিষখোচার কৃষক তাহাজুল ইসলাম বলেন, রোববার ভোরে আকাশ দেখে মনে হচ্ছিল কষ্ট করে উৎপাদিত ধানগুলো নষ্ট হবে। আর ৮/১০ দিন গেলে এক বিঘা জমির ধান কাটবো ভাবছিলাম। এখন চিন্তা করছি কী করবো।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হামিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় ৪৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। যেহেতু বৈরী আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তাই জেলার চাষিদের যেসব ক্ষেতে ৮০ শতাংশ ধান পাকার উপযোগী হয়েছে। সেসব ক্ষেতের ধান বিলম্ব না করে কাটতে বলা হয়েছে চাষিদের। এজন্য আগে থেকেই চাষিদের লিফলেট দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।