ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লাখো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
লাখো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকরা।

কক্সবাজার: ঈদের ছুটিতে লাখো পর্যটকে মুখরিত হয়ে ওঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সমুদ্রসৈকত, রামুর বৌদ্ধ বিহার, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ইনানী, হিমছড়িসহ দশর্নীয় স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তবে গরমের তীব্রতার কারণে এ বছর পর্যটক সমাগম কম বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজারের নাম শুনলেই তো স্বপ্নের মতো লাগে। মনের ভেতরে অন্য রকম শিহরণ জাগায়। তাই সুযোগ এলেই কক্সবাজার আসতে চাই। এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন খাগড়াছড়ি থেকে ভ্রমণে আসা রফিকুল ইসলাম।

শুধু তিনি নয়, পরিবার-পরিজনের অনেকেই এই ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন বলেন জানান তিনি।

কেরানীগঞ্জের মরিয়ম বেগম জানালেন, গত বছর রাঙামাটি ঘুরতে গিয়েছিলাম। এ বছর কক্সবাজার। এসে ভালোই লাগছে।

এ বছর রমজান মাসেই পড়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস ও পহেলা বৈশাখ। যে কারণে এই দুই বিশেষ দিনেও পর্যটকের দেখা মেলেনি এখানে। এছাড়াও পুরো মাস পর্যটকশূন্য ছিল। তারকামানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোতেও কক্ষ ভাড়ায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দিলেও পর্যটক আসেনি বলে জানান, বিচের লাইফ গার্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত জয়নাল আবেদীন ভুট্টো।  

ভুট্টো বলেন, রমজান শেষ হলেও গরমের তীব্রতা কমেনি। তাই এ বছর পর্যটক অন্যান্য বছরের তুলনায় অর্ধেক বলা যায়।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে পুরো সপ্তাহ ভরপুর পর্যটক থাকে। তখন হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে কক্ষ সংকটও দেখা দেয়। এ বছরও রিসোর্টগুলোর অর্ধেক বুকিং হয়েছে।

রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা গেল পর্যটকদের ভিড়। আর সমুদ্র স্নানকে ঘিরে সাগরের লোনা জলে চলছে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস। কেউ বালিয়াড়িতে বসে বালির ঘর বানাচ্ছেন, কেউ মূর্তির আদলে কিছু। সে এক অন্য রকম আনন্দ। একই অবস্থা দেখা গেল সৈকতের লাবণী, সি-গাল, কলাতলী বিচেও। তবে অন্যান্য বছরের মতো উপচেপড়া ভিড়, সবখানে অস্থির পরিবেশ, সড়কে তীব্র যানজট এবার নেই।

কক্সবাজার শহরের সৈকত তীরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোন, প্রধান সড়ক ও মেরিন ড্রাইভে প্রায় ৫শ হোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রিসোর্ট রয়েছে। যেখানে 
প্রায় ২শ থেকে ২৫০টি খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ আছে।  

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বাংলানিউজকে জানান, আমার ধারণা কম হলেও এই ক-দিনে তিন লাখো পর্যটক কক্সবাজারে আসবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকত ও আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাষাকেও দায়িত্ব পালন করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটদের হয়রানি বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক টিম কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।