ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে ঢাকা ফিরছে মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে ঢাকা ফিরছে মানুষ

ঢাকা: বিগত বছরগুলোতে ঈদে ব্যাপক ভোগান্তি নিয়ে ট্রেনে আসা-যাওয়া করতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এবার টিকিটের শতভাগ অনলাইনে বিক্রি ও স্টেশনগুলোতে শৃঙ্খলা বজায় থাকায় অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়ি যেতে পেরেছেন ঘরমুখো মানুষ।

ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না ঢাকায় ফিরতেও।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ শেষে ঢাকায় ফিরছেন যাত্রীরা। তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবী। শিডিউল বিপর্যয় ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে রওনা দিতে পেরে এবং গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা।

যাত্রীদের মতে, দুই একটি ঘটনা ছাড়া এবার ট্রেনের ঈদ যাত্রা ছিল স্বস্তির। অন্যান্যবারের মতো শিডিউল বিপর্যয় ছিল না। অনলাইনে শতভাগ অগ্রিম টিকিট বিক্রি করায় ও টিকিট ছাড়া প্ল্যাটফর্মে কাউকে ঢুকতে না দেওয়ায় এবার ট্রেনে তেমন গাদাগাদিও ছিল না। যদিও ফেরার সময় ঢাকার বাইরের স্টেশনগুলোতে এই কড়াকড়ি তেমন একটা দেখেননি তারা।

বেলা পৌনে ১১টায় কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায় এগারসিন্ধু। কিশোরগঞ্জ থেকে নির্ধারিত সময় ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া যাত্রীতে ট্রেন পুরো ভর্তি থাকলেও ছিল না গাদাগাদি অবস্থা।

এগারসিন্ধুর যাত্রী ফজলে রাব্বি বলেন, আগেই টিকিট কেটে রেখেছিলাম। ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়েছে। আসন পেতেও সমস্যা হয়নি।

মঈন খান নামের আরেক যাত্রী বলেন, এবার ঈদের সময় ট্রেনে করে বাড়ি যেতে আসতে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। স্বস্তিতেই যাতায়াত করতে পেরেছি।

সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ফিরছেন নাঈমা আক্তার। তিনি বলেন, ৬টা ৪০-এ ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। মাত্র চার-পাঁচ মিনিট দেরি হয়েছে। আর ঈদের সময় যে ভিড় থাকার কথা, তা ছিল না। তাই স্বস্তিতেই ফিরতে পেরেছি।

ভৈরব থেকে আসা সুজন মিয়া বলেন, আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। নিজের আসনে বসেই আসতে পেরেছি। ট্রেন ঠিক সময়ে স্টেশনে এসেছে। ঢাকায়ও ঠিক সময়ে পৌঁছেছি।

সকাল সোয়া ১১টায় কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায় জামালপুর থেকে আসা ভাওয়াল এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের যাত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী আহসান হাবিব বলেন, আজ থেকে অফিস খোলা। তাই চলে আসতে হয়েছে। বাড়ি থেকে আসায় মন একটু খারাপ, তবে পথে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।

সজীব নামের আরেক যাত্রী বলেন, প্রতিবার এমন ব্যবস্থা করলে ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ ঈদ করতে বাড়ি যেতে এবং আসতে পারবে।

এদিকে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৪টি আন্তঃনগর এবং ৬টি লোকাল মেইল ও কমিউটার ট্রেন কমলাপুর এসেছে। আজ সারাদিনে মোট ৩৪টি আন্তঃনগর এবং ১৮টি লোকাল মেইল ও কমিউটার ট্রেন আসবে।

কমলাপুর রেলস্টেশনে স্টেশন মাস্টার আফছার উদ্দিন বলেন, এবার ঈদে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যেতে পেরেছে। আসার সময় আরও স্বাচ্ছন্দ্যে আসতে পারছে। কোনো দুর্ভোগ ও ভোগান্তি নেই। কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয় নেই। আজ সকাল থেকেও সবগুলো ট্রেন সঠিক সময়ে আসছে আবার ছেড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ থেকে অফিস খোলা, তাই বাড়ি যাওয়া মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। তবে এখনও ফেরার সেই চাপ নেই। আরও দুই-তিনদিন পর বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
এসসি/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।