ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে স্টিল কারখানার ভাট্টি বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন দগ্ধ নিয়ন শেখ (২০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়াল।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়নের মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, নিয়নের শরীরে ৯৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো। চিকিৎসাধীন সকাল সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়া সাউঘাট এলাকার ‘আরআইসিএল স্টিল মিলে’ লোহা গলানোর ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে গলিত তরল লোহা শ্রমিকদের উপর ছিটকে পড়লে গুরুতর দগ্ধ হন ৭ জন। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় শংকর (৪০) নামে একজনের। আর বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১১টার দিকে মৃত্যু হয় ইলিয়াস আলীর (৩৫)।
মৃতের মামা মো. নাসির উদ্দিন জানান, নিয়নের বাড়ি রাজবাড়ি সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আহমদ আলী। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় থাকতেন। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে তিনি।
রাতে মারা যাওয়া ইলিয়াসের বড় ভাই মো. আলআমিন হোসেন জানান, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায়। তবে স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার ও এক মেয়েসহ পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাগলা মধ্য রসূলপুর থাকতেন ইলিয়াস। স্টিল মিলটিতে বেশ কয়েক বছর ধরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
এ ঘটনায় দগ্ধ অন্যরা হলেন, মো. জুয়েল (২৫), গোলাম রব্বানি রাব্বি (৩৫), ইব্রাহিম (৩৫) ও আলমগীর (৩৩)।
কারখানাটির সুপারভাইজার হারুন উর রশিদ জানান, তারা কারখানায় ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। ভাট্টির আশপাশে ১৫-১৬ জন শ্রমিকে ছিলেন। হঠাৎ করেই ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়ে গলিত লোহা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা দগ্ধ হন। উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধ বাকি ৪ জনের সবার অবস্থায়ই আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে জুয়েলের শরীরের ৯৭ শতাংশ পুড়ে গেছে, রাব্বির ৯৫, ইব্রাহিমের ২৮, ও আলমগীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২৩
এজেডএস/এসএ