ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাঙালি চেতনা ও মননের প্রধান বাতিঘর রবীন্দ্রনাথ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
বাঙালি চেতনা ও মননের প্রধান বাতিঘর রবীন্দ্রনাথ

ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি চেতনা ও মননের প্রধান বাতিঘর। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি নির্দেশকের ভূমিকা রেখেছেন।

মানবতাবাদী দার্শনিক হিসেবেও রয়েছে তার বিশ্বখ্যাতি। তাই প্রয়োজন হলেই তিনি আমাদের চেতনা ও মননের অন্যতম প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন।

সোমবার (৮ মে) বিকেলে রাজধানীর শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান ‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে’। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সাম্য ও সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই আমাদের চিন্তা-চেতনার সাংস্কৃতিক পরিধি বিস্তারের প্রতিটি স্তরে একটু একটু করে এগিয়ে দিয়েছেন। বাঙালির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভাবনা এবং এ উপমহাদেশে প্রথম সমবায় তথা কৃষি ব্যাংকের ভাবনা ও ক্ষুদ্র ঋণের কথা তিনিই প্রথম ভেবেছেন। তিনি জমিদারি থেকে দূরে গিয়ে দরিদ্র কৃষকের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন এবং উপলব্ধি করেছেন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভাবনা ও তাদের মুক্তির কথা। কারণ অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া শুধু শিল্প আর সাহিত্য দিয়ে কখনও মানবজাতির মঙ্গল সম্ভব নয়। আর এখানেই তিনি অনন্য।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি জীবনব্যাপী সাধনার মধ্য দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতি ও সাহিত্যের যে নতুন মাত্রা দান করেছেন, তা তুলনাহীন। তাকে ঘিরেই বাংলা সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতির ভুবনে আধুনিকতার সূচনা হয়েছে। পরে এ ধারার ধারাবাহিকতায় বাংলা সাহিত্য বিষয় বৈচিত্র্যে, জীবন জিজ্ঞাসায় ও মানবিকতায় বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। আমরা চাই তোমরা সবাই এ মানুষটির মতো মহৎ হয়ে ওঠো। তোমাদের হাতেই গড়ে উঠবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।

সভাপতির বক্তব্যে লাকী ইনাম বলেন, বাংলা সাহিত্যের আকাশ ছোঁয়া পরিপূর্ণতা এনে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা সাহিত্য ভাণ্ডার আজ সমৃদ্ধি। বাংলা ভাষা আজ সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত। তিনি লিখেছেন ছড়া, কবিতা, নাটক, গান, ছোট গল্প, উপন্যাস, স্মৃতি কথা, ভ্রমণ কাহিনী প্রভৃতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য পাঠে বাঙালির হৃদয়-প্রাণে আজও আনন্দের দোলা দিয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বড়দের জন্য যেমন লিখেছেন তেমনি ছোটদের জন্যও অনেক লিখেছেন। কবি ছোটদের অনেক স্নেহ করতেন, আদর করতেন, অনেক ভালোবাসতেন।

তিনি বলেন, কবির সব লেখাই শিশু পাঠে অনবদ্য ও অতুলনীয়। ছন্দ রসে পরিপূর্ণ। আমরা চাই তোমরা সব শিশুরা রবীন্দ্রনাথের মতো মানবিক মানুষ হয়ে ওঠো।

অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্ব শেষে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া শিশু একাডেমির শিশু শিল্পীরা পরিবেশন করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিশু একাডেমির শিশু শিল্পী সমৃদ্ধি সূচনা ও প্রেমা দেওয়ান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।