ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিশু রাফসান হত্যা: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
শিশু রাফসান হত্যা: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ঢাকা: গাইবান্ধায় ৩ বছরের শিশু রাফসান সামীকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মফিদুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ৯ বছর আসামি মফিদুল পলাতক ছিলেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।  

বুধবার (১০ মে) দুপুরে র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া), সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল হক বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মফিদুল ইসলাম গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার মো. আফাজ উদ্দিনের ছেলে। গ্রেপ্তার মফিদুল শিশু রাফসান সামিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুটিকে গলা টিপে নির্মমভাবে হত্যা করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রোয়া গ্রামের মেজবাবুল ইসলামের ছেলে রাফসান সামীকে (৩) তার বাড়ি থেকে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা ভিকটিম রাফসানকে গলা টিপে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে গুম করেছিল।

এ ঘটনার একদিন পর স্থানীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর বাবা মেজবাবুল ইসলাম বাদী হয়ে মফিদুল ইসলামসহ আরও দুজনকে আসামি করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে এ হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর আসামি মফিদুল ইসলাম ৪৬ মাস কারাভোগ করার পর নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে আদালত তাকে জামিন দেন। কিন্তু আসামি আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক থাকেন।

পলাতক থাকা অবস্থায় আদালত এই মামলার দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

আসামি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকে। সর্বশেষ সে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করে বলে জানা যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
এসজেএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।