ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মোখার উচ্চ ঝুঁকিতে ১২ লাখ রোহিঙ্গা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
মোখার উচ্চ ঝুঁকিতে ১২ লাখ রোহিঙ্গা

কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩৩টি শিবিরে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে টেকনাফের পাশাপাশি রোহিঙ্গা শিবিরে ক্ষয়ক্ষতি বেশির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সেই লক্ষ্যে রোহিঙ্গা শিবিরের নিকটবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়।

কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু দ্দৌজা নয়ন জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সে লক্ষ্যে কাজ করছে। ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছ্বাসেবক, রেডক্রিসেন্টসহ অন্যান্য স্বেচ্ছ্বাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, পুলিশ সেখানে সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলোকে। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি মেডিকেল টিম ও মোবাইল মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তাৎক্ষণিক কাজ করবে ‘সাইট ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ’।

ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরিভাবে সরবরাহের জন্য ত্রিপল, বাঁশ, সুতলি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ভূমিধস কিংবা বন্যা দেখা দিলে সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ারও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এসবি/এসআইএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।