ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হারানো মোবাইল উদ্ধারই নেশা এই পুলিশ কর্মকর্তার 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
হারানো মোবাইল উদ্ধারই নেশা এই পুলিশ কর্মকর্তার  মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিম

রাজবাড়ী: হারানো বা চুরি হওয়া কিংবা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারই যেন নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিমের।

ইতোমধ্যে শতাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

যে কারণে এই পুলিশ সুপার এখন অনেকের প্রিয়দের তালিকায়। কারণ, অভিযোগ পেলেই তার সত্যতা যাচাইয়ের পর দ্রুতই মোবাইল ফোন উদ্ধারে নেমে পড়েন পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিম। উদ্ধার করে তা পৌঁছে দেন মালিকের হাতে।

এমনটাই জানালেন হারানো মোবাইল ফিরে পাওয়া বেশ কয়েকজন।

তারা বললেন, অনেকের ধারণা হারানো মোবাইল উদ্ধারের বিষয়ে থানায় গেলে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। কেউ কেউ তো আবার উদ্ধার বাবদ খরচও দাবি করেন। কিন্তু এই কর্মকর্তা এ বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক।  দ্রুততার সঙ্গে রেসপন্স করেন এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দেন।  

এভাবে মোবাইল ফিরে পেয়ে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সব অফিসার যদি মো. রেজাউল করিমের মতো মানসিকতার হতেন তাহলে আর পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ জনগণের খারাপ ধারণা থাকত না।  

হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দেওয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অনেকটা ভালো লাগা থেকেই এই কাজটি নিয়মিত করি। একজন ব্যক্তি তার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফিরে পেলে যে আনন্দটা পান সেটাই আমার বড় প্রাপ্তি।

এক্ষেত্রে রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের ভূমিকা রয়েছে বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের নির্দেশনায় পুলিশী সেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়ার মনোভাবের কারণেই তার এই কাজটি অনেক সহজ হয়েছে। শুধু রাজবাড়ীই নয়; বেশ কয়েকটি জেলার অনেক মানুষের হারানো মোবাইল তিনি উদ্ধার করে দিয়েছেন।  

কীভাবে আর কবে থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধারে তৎপর হয়েছেন তিনি প্রশ্নে রেজাউল করিম বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সজিব নামে এক ছাত্রের মোবাইল ফোন হারিয়ে যায় খেলার মাঠ থেকে। আমি দ্রুত রেসপন্স করে ৫ দিনের মাথায় তার মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিই। ছাত্রজীবনে টিউশনির টাকায় কেনা মোবাইলটা পেয়ে সে আমাকে ট্যাগ করে ফেসবুকে একটা ধন্যবাদ স্ট্যাটাস দেয়। তার এই স্ট্যাটাস দেখে অনেকেই আমার মেসেঞ্জারে হারানো মোবাইল উদ্ধারের অনুরোধ করতে থাকেন। তাদেরকে আর ফেরাতে পারিনি। সেই থেকে শুরু।

এখন পর্যন্ত শতাধিক হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিয়েছেন জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কক্সবাজার জেলা হতে শুরু করে কুমিল্লা, ঢাকা, গাজিপুর, নারায়ণগঞ্জ , গাজিপুর, মানিকগঞ্জ , টাঙ্গাইল , দিনাজপুর , রংপুর , নাটোর, বান্দরবান , চট্টগ্রাম , রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অনুরোধগুলো বিবেচনায় নিয়ে মোবাইল উদ্ধার করে দিয়েছি। যতদিন সুযোগ থাকবে ততদিন তিনি এভাবেই সাধারণ জনগণকে সেবা দিয়ে যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।