ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গরুর ফার্মে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
গরুর ফার্মে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫

দিনাজপুর: দিনাজপুরে এক ব্যবসায়ীর ফার্ম থেকে গরু ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ।  এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।

শনিবার (১৩ মে) গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ রামনগর মলানপুকুর এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম ফরিদ(৩৫) খানসামা উপজেলার বিষ্ণপুর জেলেপাড়ার এলাকার ভদ্র দাশের ছেলে সুমন দাশ (২৬), বোচাগঞ্জ উপজেলার ফুটকীবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে সবুজ ইসলাম(২৫), সদর উপজেলার নুনাইচ পামতিয়া পাড়ার আনারুল ইসলামের ছেলে আল মামুন (৩০)  ও বোচাগঞ্জ উপজেলার ওসমানপুর মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে শাহ্ আলম (৪০)।  

রোববার ( ১৪ মে) দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।

গ্রেপ্তাররা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে দাবি পুলিশের।

এরআগে ডাকাতির ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তারা হলেন - নীলফামারী জেলার কাচারীবাজার বড় সংঘইলশীল এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আতিকুল ইসলাম পাঠাও (৪২) ,  ও জেলার খানসামা উপজেলার দাশপাড়া এলাকার রাম প্রশাদ চন্দ্র রায়ের ছেলে ভারত চন্দ্র রায় (২৭) ও একই এলাকার এলাকার মৃত পুলিন দাশের ছেলে চিত্র দাশ (৪০)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের বনকালি এলাকার ফজলুল কবির টুটুলের গরুর ফার্ম থেকে ১৪ টি গরু ডাকাতি হয়। একটি ট্রাকে করে ডাকাতরা সেই ফার্মে গিয়ে গেটের তালা ভেঙে দায়িত্বরত সবুর, লতিফুর ও নয়নকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত, পা ও চোখ বেঁধে তারা ১৪টি গরু নিয়ে যায়। এরপর ফার্মের মালিক কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, ডাকাতির পর তারা বারবার বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করতে থাকে। গত ২৯ এপ্রিল তিনজন ও শনিবার (১৩ মে) পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকার দলের সদস্য। আসামি ফরিদুলের বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতি ও অস্ত্রসহ মোট ৬টি মামলা ও ১৩টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। অপরদিকে সুমন দাশের বিরুদ্ধে ৪টি, সবুজ ইসলামের বিরুদ্ধে ১টি, শাহ আলমের বিরুদ্ধে ১৩টি, আতিকুল ইসলাম পাঠাওয়ের বিরুদ্ধে ১০টি ও ভারত চন্দ্রের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে।  

গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।