ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পলাশবাড়ীতে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
পলাশবাড়ীতে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর শিশুর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা হরিণাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বুলবুল আহমেদকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (১৪ মে) রাতে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলার দায়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (১৩ মে) রাতে ধান ক্ষেত থেকে বায়েজিদের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ সুপার কামাল হোসেন। এসময় শিশুটির মা রায়হানা বেগম এসআই বুলবুলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে তার শাস্তির দাবি জানান।

ওসি মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী সিরিকুল মণ্ডলের মা ছকিনা বিবি, স্ত্রী ববিতা বেগম, ভাই শরিফুল ও ছেলে রোমানকে পুলিশ আটক করেছে। এদের মধ্যে রোববার দুপুরে রোমান ও শরিফুলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে বায়েজিদের মরদেহ মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামে এসে পৌঁছে। এরপর নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শিশুটিকে দাফন করা হয়।  

গত সোমবার (৮ মে) দুপুরে বাড়ি থেকে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই গ্রামের সৌদি বাসী তাহারুল বেপারীর ছেলে বায়েজিদ (৪)।

পরদিন মঙ্গলবার (৯ মে) শিশুটির মা রায়হানা বেগম বায়েজিদের সন্ধানে পলাশবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। চেষ্টা চালিয়েও শিশুটির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।

একপর্যায়ে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বালুখোলা গ্রামের বিস্তীর্ণ একটি ধান ক্ষেত থেকে বায়েজিদের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত সিরিকুলের বসতবাড়িতে ভাঙচুরসহ আগুন দেয় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। পরে পলাশবাড়ী ও গাইবান্ধা ফয়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শিশুটির মা রায়হানা বেগমের অভিযোগ, প্রতিবেশী সূদের কারবারি সিরিকুলের ছেলে রোমান এলাকার একজন চিহ্নিত চোর। পাশাপাশি সে নেশায় আসক্ত। রোমানের পরিবারের পক্ষ থেকে তার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় রোমান বিভিন্ন হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় তার ছেলে বায়েজিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে দোষিদের ফাঁসির দাবি জানান তিনি।  

** ৫ দিন পর ধানক্ষেতে মিলল নিখোঁজ শিশুর মরদেহ
** মাদকাসক্ত ছেলের সঙ্গে বোনকে বিয়ে না দেওয়ায় ভাইকে হত্যা! 

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।