ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

যৌথ নদী রক্ষায় জনগণকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
যৌথ নদী রক্ষায় জনগণকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

ঢাকা: বাংলাদেশের যৌথ নদী ও পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকারের উচিত বলিষ্টভাবে কথা বলা, বিপর্যয় এড়ানো এবং নদীর প্রবাহ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)।

মঙ্গলবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘ফারাক্কা লং মার্চ ডে- ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়।

আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির (আইএফসি) বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ড. এস আই খান।  

তিনি বলেন, বিগত কয়েক দশক ধরে নদী গুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ না আসায়, বাংলাদেশের পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। মারাত্মক ক্ষতিকারক সাগরের পানির লবনাক্ততা উপকূল থেকে মানিকগঞ্জের আরিচা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। দেশের প্রাকৃতিক প্লাবণ ভূমির অধিকাংশ এলাকায় এখন আর বর্ষার পানি আসেনা। ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ অনেক জলজ প্রাণী, শেওলা, শালুক, শাপলা এবং আরো অনেক জলজ উদ্ভিদ বহু জেলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে পানি বঞ্চিত গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় অনেক নদী মরে গেছে এবং মরুকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক নদী ও পানি বিষয়ক আইন মেনে চললে ভাটির দেশ বাংলাদেশে এমন পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিতনা। প্রাকৃতিক সম্পদ নদীকে রাজনৈতিক বর্ডারে ভাগ করা বা আটকে দেওয়া যায়না। উজানে এমন কিছু করা সমিচীন নয় যার ফলে ভাটির দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সকল যৌথ নদী উৎস থেকে সাগর পর্যন্ত প্রবাহমান থাকতে হবে। তা নাহলে নদীগুলো মরে যাবে।  

বাংলাদেশের নদী পরিবেশগত বিপর্যয় সম্পর্কে বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতসহ সারা দুনিয়ার পানি বিশেষজ্ঞরা অবহিত ও সোচ্চার। এ নিয়ে কথা বলা কারো বিরুদ্ধে শত্রুতা নয়। যৌথ নদীর পানির সঠিক ব্যবহার এবং নদী অববাহিকার উজান ও ভাটির আধিবাসীদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাপি কাজ চলছে। কারণ তাছাড়া নদী বাঁচবেনা। বাংলাদেশের উচিত একথা বলিষ্টভাবে বলা এবং বিপর্যয় এড়ানো এবং নদীর প্রবাহ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।

অনুষ্ঠানে বক্তারা মাওলানা ভাসানীর প্রসংশা করেন এবং সকলকে দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার অন্দোলনে ৯৬ বছর বয়সে দেওয়া তার শিক্ষা অনুসরণ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আইএফসি নিউইয়র্ক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালুর অসুস্থতায় সমবেদনা জানানো ও তার আশু রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।

আলোচনা সভাটির সভাপতিত্ব করেন, আইএফসির সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল মজুমদার।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্য সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য কাফি রতন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)'র সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
ইএসএস/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।