ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডিম-মুরগির ন্যায্য মূল্য চান প্রান্তিক খামারি-ডিলাররা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
ডিম-মুরগির ন্যায্য মূল্য চান প্রান্তিক খামারি-ডিলাররা ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ডিম ও মুরগির ন্যায্য মূল্য এবং পোল্ট্রি ফিডের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন প্রান্তিক খামারি ও ডিলাররা।

শনিবার (২০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রান্তিক খামারি ও ডিলারদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছোট খামারি ও ডিলাররা পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ঘটালেও আজ তারা অসহায়। এই খাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ৫০ লাখ প্রান্তিক উদ্যোক্তা আজ গুটি কয়েক ব্যক্তির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। প্রান্তিক খামারিদের মুরগি বাজারে এলে এই পোল্ট্রি পণ্যটির দাম কমে যায়। যার কারণে তাদের উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনে ৬০ শতাংশ ভুট্টার প্রয়োজন হয় জানিয়ে তারা বলেন, ২০২১ সালে যেই ভুট্টার দাম ছিল ২৮ টাকা কেজি এবং ৫০ কেজির এক বস্তা পোল্ট্রি ফিডের দাম ছিল দুই হাজার ৫০০ টাকা, সেই ভুট্টা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের দোহায় দিয়ে ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে হয় ৪১ টাকা কেজি এবং পোল্ট্রি ফিডের দাম হয় তিন হাজার ৭৪০ টাকা। মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে ভুট্টার দাম কেজিতে ১৬ টাকা এবং ফিড উৎপাদনের অন্যান্য উপাদানের দাম ৪০ শতাংশ কমলেও বাংলাদেশে ফিডের দাম কমেছে বস্তাপ্রতি মাত্র ৭৫ টাকা। বর্তমানে দেশে ৫৯ কেজির পোল্ট্রি ফিড বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৬৫০ টাকায়।

তারা আরও অভিযোগ করেন, মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বাচ্চা উৎপাদন করতে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা খরচ হলেও তারা খামারিদের কাছে বিক্রি করেন ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। আবার পোল্ট্রি ফিডের উৎপাদন খরচ সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকা হলেও খামারিদের কাছে বিক্রি করেন তিন হাজার ৬৫০ টাকায়।

এ সময় তারা করপোরেট গ্রুপের এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

তারা আরও দাবি করেন, কর্পোরেট গ্রুপগুলো দ্বিগুণ লাভে বাজারে মুরগি বিক্রি করে। বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারা তাদের ইচ্ছে মতো মুরগির দাম বাড়ায়, কমায়। তাই প্রান্তিক খামরিরা যখন বাজারে মুরগি বিক্রি করতে যায়, তখন তারা ইচ্ছে করে এসএমএসে মাধ্যমে দাম কমিয়ে খামারিদের লোকসানে ফেলে। এভাবে তারা প্রান্তিক খামারিদের স্বাধীনভাবে ব্যবসা থেকে সরিয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তিতে যেতে বাধ্য করে। এই বৈষম্য দূর করে বাজারে প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনতে হবে।

এ সময় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার,  সহ-সভাপতি বাপ্পি দেসহ বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক খামারি ও ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।