ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোয়াল ঘরের পাশে মিলল মুখে গামছা পেঁচানো নবজাতক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেনট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
গোয়াল ঘরের পাশে মিলল মুখে গামছা পেঁচানো নবজাতক

চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকায় গোয়াল ঘরের পাশে বাজারের ব্যাগে মিলল এক নবজাতক। রক্তাক্ত অবস্থায় নবজাতকের মুখে গামছা পেঁচানো অবস্থায় পড়েছিল ছেলেশিশুটি।

শুক্রবার (২ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ষোলঘর পাকা মসজিদ এলাকার পুলিশ সুপারের বাসভবনের কাছে ঢালী বাড়ির নিজাম ঢালী ওরফে খোকনের গোয়াল ঘরের পাশে নবজাতককে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

নবজাতকের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে রাতেই শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আজিজুর রহমানকে দেখান তিনি।

কে বা কারা রাতের আঁধারে ওই নবজাতকের মুখে গামছা পেঁচিয়ে, বাজারের ব্যাগে ঢুকিয়ে গোয়াল ঘরের পাশে ফেলে রেখে পালিয়েছেন, সে বিষয়ে স্থানীয় কেউ বলতে পারছেন না।

পরদিন (শনিবার) সকালে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন ওই নবজাতককে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।  

বর্তমানে ওই নবজাতক পুলিশ হেফাজতে খোকন ঢালীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সখিনা বেগমের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে খোকন ঢালী তার গোয়াল ঘরে গরুকে ঘাস দিতে গিয়ে ওই নবজাতকের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। ওসির নির্দেশে আমি খবর পেয়ে সকালে ওই বাড়ি থেকে শিশুটিকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। বর্তমানে শিশুটি সখিনা বেগমের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নবজাতকের সেবার দায়িত্বে নিয়োজিত হানিফ ঢালীর স্ত্রী সখিনা বেগম বলেন, শুক্রবার রাতে গোয়াল ঘরের পাশে একটি বাজারের ব্যাগের মধ্যে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করি। তাকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করিয়েছে এবং আমার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তার সঙ্গে এই নবজাতককে বুকের দুধ পান করাচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।