ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বৃষ্টি কামনায় চাঁদপুরে ‘ইসতিসকার’ নামাজ আদায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
বৃষ্টি কামনায় চাঁদপুরে ‘ইসতিসকার’ নামাজ আদায় বৃষ্টি কামনায় বিশেষ নামাজ আদায়

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় টানা কয়েক দিন ধরেই চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ। গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বুধবার (৭ জুন) সকালে বৃষ্টি কামনায় বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  

মতলব উত্তরের ইত্তেহাদুল ওলামা গোষ্ঠীর আয়োজনে ছেংগারচর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশেষ এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

ধর্মমতে, এ নামাজকে বলা হয় ‘সালাতুল ইসতিসকার’। এ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বা পানির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, কালবৈশাখীর মৌসুমেও বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো টানা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তারা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেন। নামাজে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়।

সকাল ১০টার দিকে ছেংগারচর মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাঞ্জাবি-টুপি পরে জায়নামাজ নিয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নামাজ আদায় ও দোয়া পরিচালনার জন্য হাজির হন মুফতি যাইনুল আবেদীন। প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন তিনি। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

ছেলেকে নিয়ে নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন রিপন মিয়া। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই নামাজের বিষয়ে জানতাম। বর্তমান রোদ-গরমে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এটা একধরনের বড় দুর্যোগ। তাই দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নামাজ আদায় করতে এসেছি।

স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাঈল খান টিটু বলেন, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। এজন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।

নামাজ শেষে মাওলানা আবদুল বাতেন বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে। আল্লাহ নামাজের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানির জন্য দোয়া চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সবাই একত্র হয়ে বৃষ্টি কামনায় বিশেষ এ নামাজ আদায় করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।