রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে সায়েমের পর মিলল রিফাতের মরদেহও। শনিবার (১১ জুন) গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়েছিলেন তারা।
রোববার (১১ জুন) ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে প্রথমে গোলাম সারোয়ার সায়েমের মরদেহ ভেসে ওঠে। এ সময় স্থানীয় জেলেরা তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে দুপুর ১২টার দিকে রিফাত খন্দকার গালিবের মরদেহ ঘটনাস্থলে ভেসে উঠে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে দুইটি মরদেহই নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরেই রাজশাহী নৌ-পুলিশ পরিবারের সদস্যদের কাছে দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ হস্তান্তর করে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন ওই দুই কলেজ শিক্ষার্থী। আজ তাদের মরদেহ দুইটি কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে উদ্ধার হয়। এরপর এ উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
রাজশাহী নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার রেজা জানান, শনিবার ৯ বন্ধু পদ্মার চরে ফুটবল খেলতে যায়। খেলা শেষে তারা নদীতে গোসলে নামেন। এ সময় স্রোতের তোড়ে কলেজ শিক্ষার্থী সায়েম ও রিফাত নদীর পানিতে ডুবে যান। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ডুবুরি ইউনিট উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। পরে আজ ভোর থেকে পর পর দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির নয় বন্ধু শ্রীরামপুর এলাকার পদ্মার চরে ফুটবল খেলে নদীতে গোসল করতে নামে। কিন্তু নদীতে নামার পর সায়েম ও গালিব ডুবে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের ৬ ডুবুরি সদস্য শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়েও দুই কলেজ শিক্ষার্থীর সন্ধান পায়নি। আজ ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। তারা যেখানে ডুবে গিয়েছিলেন তার পাশেই মরদেহ দুইটি পরপর ভেসে ওঠে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷
মৃত গোলাম সারোয়ার সায়েম রাজশাহী মহনগরীর মেহেরচণ্ডী এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে। এছাড়া রিফাত খন্দকার গালিব মহানগরীর দরগাপাড়া এলাকার মৃত খাজা মইনুদ্দীনের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
এসএস/জেএইচ