ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে পুরো সমাজকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে পুরো সমাজকে

ঢাকা: আমরা যখন জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলি, এগুলোর সমস্যা ও সমাধানের কথা বলি তখন সবাই এটি সরকারের কাজ বলে চাপিয়ে দেয়। কিন্তু এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য পুরো সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

কোনো একক দলের পক্ষে এটা পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব নয়।

শনিবার (১৭ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনে জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলায় তরুণদের উদ্যোগ নিয়ে ইউএস এআইডির আয়োজিত ‘সেইভ মাদার ন্যাচার, সেইভ আস’ বিষয়ক কর্মশালার চূড়ান্ত পর্বে এসব কথা বলেন বক্তারা।

এ সময় বক্তারা বলেন, আজকে তরুণরা জলবায়ু সমস্যা সমাধানের যে বিষয়গুলো তুলে ধরলো তা তারা সব সময় মোকাবেলা করে। যারা ঢাকায় থাকে তারা যেমন এ সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে, তেমনি যারা খুলনায় থাকে তারাও এ এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। আমাদেরকে আশ্বাস জাগায় যে এখনকার ছেলে-মেয়েরা এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। তাদের এই আইডিয়াগুলো বাস্তবায়িত করা সম্ভব। তবে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ বলেন, আজকের তরুণরা যে এই সমস্যা নিয়ে ভাবা শুরু করেছে এটিই সত্যিই খুব ভালো উদ্যোগ। এখন তাদেরকে প্রসারিত করতে হবে। এ সমস্যার জন্য আমরা সকলেই দায়ী। এখন এর সমাধানের জন্য আমাদের সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমি এখানে আসতে পেরে খুব গর্ববোধ করছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তার জন্য এখনি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরি বলেন, আমরা যদি বিভিন্ন সমস্যা দেখে থাকি তাহলে আমরা দেখবো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে। আজকে এখানে যে উপস্থাপনগুলো করা হলো সেই উপস্থাপনের মধ্যে এ বিষয়গুলো আরো বেশি স্পষ্ট হয়েছে। আমরা সব সময় বলি যে আমরাই শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্ভোগ পোহাচ্ছি না। পুরো বিশ্বময় এই দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। এ সমস্যা মোকাবেলায় আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যা আমরা বিশ্বময় প্রচার করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, এখানে সবচেয়ে অনুপ্রেরণার বিষয় হচ্ছে আমাদের তরুণরাও এই সমস্যা মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছে। তারা সরকারের কাজের জন্য অপেক্ষা করছে না। তারা নিজ উদ্যোগেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তারা আমাদের জন্য একটি বড় সম্পদ। আমি মনে করি আমাদের এখন এই সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জলবায়ু নিয়ে কাজ করা ১৫টি তরুণ দল কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করা যায় সে বিষয় নিজেদের উপস্থাপন তুলে ধরেন। সেই উপস্থাপনের ওপর ভিত্তি করে তিনটি দলকে বিজয়ী করেন বিচারকরা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য তানভীর হাসান ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ পরিবেশ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
এইচএমএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।