ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নাদিমকে উচ্ছৃঙ্খল সাংবাদিক বলেছিলেন ইউনিয়ন আ. লীগ সভাপতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
নাদিমকে উচ্ছৃঙ্খল সাংবাদিক বলেছিলেন ইউনিয়ন আ. লীগ সভাপতি সাংবাদিক নাদিম, শাহিনা বেগম, সাইফুল ইসলাম খোকা

জামালপুর থেকে ফিরে: জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগমের কাছে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের বিচার করার জন্য জনসভায় আবেদন করেছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সাইফুল ইসলাম খোকা।

বুধবার (২১ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এ ছাড়া জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসের কোনো এক সময় বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে শাহিনা বেগমের কাছে সাংবাদিক নাদিমকে বিচারের আবদার জানান সাইফুল ইসলাম খোকা। তিনি নাদিমের গ্রামের বাড়ি র ইউনিয়ন লিলখিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি।

যে জনসভাটি হয়েছিল, সেটিতে বক্তব্য দিয়েছিলেন নাদিম হত্যার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। তার বক্তব্যেরও একটি মঙ্গলবার (২০ জুন) ভাইরাল হয়।

খোকার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে- তিনি বলেছেন, ‘নাদিম একটি উচ্ছৃঙ্খল সাংবাদিক। সাংবাদিক জগতে সে একটা খারাপ প্রকৃতির ছেলে। কারণ হলো মিথ্যা লিখা। আমাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (শাহিনা বেগম) হিসেবে যিনি আছেন, উনি শান্তি প্রিয় মানুষ। উনি কোনো সময় নাদিমের লিখার ধার ধারে না। আওয়ামী লীগের কাছে আমার একটা আবেদন নাদিমের একটা সুষ্ঠু বিচার করা হোক।

আর যেন মিথ্যা কথা না লিখে। মিথ্যা লিখে কারো যেন ক্ষতি না করে। আমাদের দলের ভেতর এমন কোনো লোক নেই যে নাদিমকে পছন্দ করে। হাতে গোনা দুই একজন পছন্দ করে তারা আমাদের দলের শত্রু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন (বুধবার) রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে জামালপুরের বকশিগঞ্জের পাথাটিয়ায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন নাদিম। স্থানীয় সাংবাদিক এবং পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী মনিরা বেগম।

শনিবার (১৭ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বকশীগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে প্রধান আসামি করে এবং ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।

এ সময় ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাবু চেয়ারম্যান। পরে শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। পরদিন তাকে আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ২১ জুন, ২০২৩
এনবি/এসএফ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।