রাজশাহী: রাজশাহীতে কোল্ডস্টোরেজের সিন্দুক ভেঙে সাড়ে ৩০ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৪ জুন) দিনগত রাতে রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছীর 'রাজ কোল্ড স্টোরেজে' এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই কোল্ডস্টোরেজের তিন নৈশপ্রহরীকে রোববার (২৫ জুন) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার ওই কোল্ডস্টোরেজের মালিক।
তিনি জানান, সাধারণত কোল্ডস্টোরেজের একদিনের কালেকশনের টাকা পরদিন ব্যাংকে গিয়ে জমা দেওয়া হয়। দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকায় গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন), শুক্রবার (২৩ জুন) ও শনিবার (২৪ জুন) এ তিন দিনের কালেকশনের টাকা জমা দেওয়া হয়নি। কথা ছিল রোববার (২৫ জুন) সকালে ব্যাংক খুললে টাকাগুলো জমা দেওয়া হবে। তাই শনিবার রাতে কোল্ডস্টোরেজের অফিস বন্ধের আগে দুই তলার সিন্দুকে টাকাগুলো রাখা হয়েছিল। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এদিন গভীর রাতে তিনজন মুখোশপরা ব্যক্তি হাতে করে তালা ভাঙার যন্ত্র নিয়ে কোল্ডস্টোরেজে প্রবেশ করছেন। পরে তারা একে একে কয়েকটি গেটের তালা ভেঙে অফিসের সিন্দুকের কক্ষে ঢোকেন। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর সিন্দুকটি ভেঙে তারা ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৭২ টাকা লুট করে নিয়ে যান। সিসিটিভি ফুটেজে তার পুরোটাই ধরা পড়েছে। তবে মুখে মুখোশ থাকায় এবং তারা খালি গায়ে থাকায় ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা যায়নি।
মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, রাতে কোল্ডস্টোরেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে তিনজন নৈশ প্রহরী ছিলেন। এরপরও এত বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটে গেছে। খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় আপাতত কোল্ডস্টোরেজের তিন নৈশপ্রহরীকে নিয়ে গেছে। তারা বেসরকারি একটি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এছাড়া মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাজশাহীর পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, ওই কোল্ডস্টোরেজ থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে তিনজন মিলে সিন্দুক ভেঙে ডাকাতি করছে। তাদের শনাক্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহয়তা নেওয়া হচ্ছে। তিন নৈশপ্রহরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিগগিরই এ ঘটনার মূল হোতাদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এসএস/আরআইএস