বরিশাল: চেয়ারম্যান-সচিবের নামে সিল, ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড ও গোল সিল বানিয়ে জাল ওয়ারিশ সনদপত্র তৈরির ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পটিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা অমল বল্লভ (৫৯) আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি বরিশাল কলেজের শিক্ষার্থী সুবিন্দু রায় (১৯)।
রোববার (২৫ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম। এর আগে শনিবার (২৪ জুন) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুবিন্দু রায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তাররা জালিয়াতি করে বিভিন্ন কাগজপত্র ও দলিলাদি তৈরি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তাররা আগৈলঝাড়ার গৈলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু ও উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার ও তাদের সচিবদের নামের সিল, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্যাড ও ইউনিয়ন পরিষদের নামে গোল সিল বানিয়ে জাল ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, অভিযানের সময়ও তারা জালিয়াতির কাজ করছিল। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগৈলঝাড়ার ৪ নম্বর গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটুর নিজ নামীয় সিল, ইউপি সচিবের সিল, পরিষদের গোল সিল, পরিষদের নামে তৈরি প্যাড ও জালিয়াতি করা ওয়ারিশ সনদপত্র এবং উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের অনুরূপ সিল এবং কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু ঘটনাস্থলে যান। তখন তিনি তার পরিচালিত গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের নামের সিল, প্যাড বানিয়ে ওয়ারিশ সনদপত্র জালিয়াতি করে তৈরি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
পরে ঘটনায় গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু বাদী হয়ে অমল-সুবিন্দুর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেপ্তারদের বরিশাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এমএস/এমজে