ঢাকা: বিভিন্ন সময়ে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের খোঁজ চান তাদের পরিবারের সদস্যরা। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।
সোমবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভয়েস অব ভিকটিম ফ্যামিলি’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এসব দাবি করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন হারিয়েছে। হারিয়েছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। যারা গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ নাগরিক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে, তারা বর্তমানে অসহ্য যন্ত্রণায় দিনযাপন করছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী জনগণ কর্তৃক ধিকৃত হয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতির টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি করে সহিংসতা আর হত্যাকেই শ্রেষ্ঠ সমাধান হিসেবে মনে করছে। বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী মানুষদের বিরুদ্ধে সরকারি সন্ত্রাসী বাহিনী যেমন টার্গেট কিলিং করছে, ঠিক তেমনিভাবে গত এক দশকের বেশি সময় যাবত বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের পোষা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুম, খুন ও গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে অত্যাচারের মাধ্যমে খুনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
নিখোঁজ কাউসার হোসেনের মেয়ে লামিয়া বলেন, আমি আমার বাবাকে দেখি না ১০ বছর হয়েছে। আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই। বাবা দিবসে আমি আমার বাবাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে পারি না। আমি আমার বাবার সাথে ঘুরতে যেতে চাই। আমার বাবাকে ফেরত চাই।
নিহত ছাত্রদলের নেতা নুরুল আলম নুরুর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তাকে আর সেদিন আমরা খোঁজাখুজি করেও পাইনি। পরের দিন কর্ণফুলী নদীর তীরে আমার স্বামীর লাশ পাওয়া যায়। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
গুম হওয়া ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রেজাউল করিমের বাবা বলেন, আমার ছেলে একজন আইনজীবী ছিল। আমার ছেলেকে জেলখানায় নিয়ে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। হাসপাতালের বেড রক্তে ভেসে গেছে। আমি এর বিচার চাই। আর তারা বিচার না করলে আল্লাহ এর বিচার করবে।
নিহত বদিয়ার রহমানের ভাই বলেন, আমার ভাই জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছে। আমরা এর বিচার চাই।
গুম হওয়া ওয়াদুদ খন্দকারের ভাই বলেন, আমার ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার মা আজ সন্তানহারা, আমার বোন আজ ভাইহারা, আমার ভাবী আজ স্বামীহারা। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ