ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বুধবার চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে উদযাপন হবে ঈদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
বুধবার চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে উদযাপন হবে ঈদ ফাইল ছবি

চাঁদপুর: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশ সমূহের সঙ্গে মিল রেখে এবারও চাঁদপুরের প্রায় অর্ধশত গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে বুধবার (২৭ জুন)।  

এ উপলক্ষে জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উত্তরে উপজেলার এসব গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদ উদযাপনের জন্য সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়েছেন।

 

দেশে আগাম ঈদ পালনকারীদের একজন ফরিদগঞ্জের উভারামপুর গ্রামের সাহাগীর মজুমদার। তিনি বাংলানিউজকে জানান, তাদের পাশে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে ঈদ উদযাপন করার জন্য অনেকেই ইতোমধ্যে কোরবানির পশু কিনেছেন। আবার অনেকে শেষ সময়ে কোরবানির পশু কেনার কাজে ব্যস্ত আছেন।  

স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু করে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অর্ধশত গ্রামে অন্তত ২০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে টোরা মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা এএসএম রহমত উল্লাহ।  

এছাড়া হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফে অবস্থিত হামিদিয়া সিনিয়র মাদরাসা মাঠে ঈদের জামায়াতের ইমামতি করবেন পীরজাদা মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

সাদ্রা দরবার শরীফের বড় পীরজাদা ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী আগাম রোজা ও দুই ঈদ সম্পর্কে বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এই তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায়। আর সেই সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছে, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং জিলহজ মাসের তারিখ দেখে আগ থেকেই ঈদুল আজহার তারিখ নির্দিষ্ট হয়ে যায়।

দরবার শরীফের আরেক পীর মো. আরিফ চৌধুরী জানান, প্রতি বছর জেলার ৪ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা একদিন আগে উদযাপিত হয়। ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আমরা বুধবার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও কোরবানির সম্পন্ন করব -ইনশাল্লাহ।

জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ) -এর অনুসারীরা বিগত ৯৫ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন। পর্যায়ক্রমে চাঁদপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই মতবাদের অনুসারী সংখ্যা বাড়ছে।

একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মণিহার, বড়কূল, অলিপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।