খুলনা: কোরবানির ঈদের আগে সব ধরনের মসলা স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আদা, জিরা, দেশি পেঁয়াজ, রসুন, দারুচিনিসহ বেশিরভাগ মসলার দাম বেশ কিছুদিন ধরে বাড়তি থাকলেও নতুন করে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চুইঝাল ও কাঁচা মরিচের।
খুলনার সব থেকে ঐতিহ্যবাহী মসলা চুইঝাল। এবার কোরবানির ঈদের বাজারে চুইঝালের দাম আকাশছোঁয়া।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাটি। ভালো মানের চুইঝাল বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। চুইঝালের এত দাম বাড়াতে ক্ষিপ্ত সাধারণ ক্রেতারা।
তারা বলছেন, খুলনাঞ্চলের চুই সারাদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যার কারণে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে দামও। যদিও রসনা বিলাসের এ মসলাটির দাম বাড়ার পরও দেদারছে কিনছেন ভোজন রসিকরা।
বিক্রেতারা বলেন, প্রতিবার কোরবানির ঈদের সময় চুইঝালের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়।
মহানগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের মুন্না নামে চুইঝাল বিক্রেতা বলেন, সবচেয়ে ভালো মানের চুইঝাল বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়।
রাব্বি নামে অপর এক চুইঝাল ব্যবসায়ী বলেন, কোরবানি উপলক্ষে চুইঝালের চাহিদা বেড়ে যায়। ১২০০ টাকা কেজি দরে তিনি চুইঝাল বিক্রি করছেন।
গল্লামারী বাজারের চুইঝাল বিক্রেতারা জানান, প্রকার ভেদে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকায় চুইঝাল বিক্রি করছেন।
আব্দুল্লাহ নামে এক ক্রেতা বলেন, কোরবানির সময় চুইঝালের চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। যে কারণে দাম বেশি নিচ্ছে বিক্রেতারা।
এদিকে কাঁচা মরিচের বাজারে আগুন লেগেছে। দামে নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ। এক মাসের ব্যবধানে চার গুণ দাম বেড়েছে। খুলনার বাজারে এখন ৪০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। ফলে ক্রেতারাও মরিচ কেনায় হাত গুটিয়ে এনেছেন। বেশির ভাগ ক্রেতাই আড়াইশো গ্রাম মরিচ কিনছেন।
মহানগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের মরিচ বিক্রেতা তপন ও শফিকুল বলেন, হঠাৎ বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি অনেক কমে গেছে। প্রচণ্ড খরার কারণে এবার মরিচের ফলনও ভালো হয়নি। মরিচ ক্ষেত অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাওয়াই ফলন কম হয়েছে, যার কারণে দাম এত বেড়েছে।
তারা জানান, তাদেরই কাঁচা মরিচ পাইকারি কিনতে হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। আর বিক্রি করছেন ৪০০ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এমআরএম/আরবি