ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২৫০ টাকার ভাড়া ৮০০, ২০ টাকার ভাড়া ৫০!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
২৫০ টাকার ভাড়া ৮০০, ২০ টাকার ভাড়া ৫০! ছবি: বাংলানিউজ

সিরাজগঞ্জ: ঈদে ঘরমুখো মানুষের থেকে যানবাহনগুলোতে নেওয়া হচ্ছে ‘গলাকাটা’ ভাড়া। ২৫০ টাকার ভাড়া ৬০০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

আরামদায়ক বাস ভ্রমণের পরিবর্তে টাকা বাঁচাতে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ট্রাকে আসা যাত্রীদেরও এই গলাকাটা ভাড়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।

এছাড়াও সিএনজি চালিত অটোরিকশাতেও ২০ টাকার ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। গার্মেন্টকর্মীসহ নিম্ন আয়ের মানুষগুলো অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে।  

মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় কর্মস্থল থেকে ঘরে ফেরা মানুষের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। এ সময় অধিকাংশ যাত্রীই কয়েকগুণ ভাড়া দিতে হয়েছে বলে জানান। আবার কড্ডার মোড় থেকে অটোরিকশা ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে প্রায় আড়াই গুণ।  

গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকা থেকে বগুড়ার একটি লোকাল বাসে এসেছেন গার্মেন্টকর্মী রাকিব ও তমা খাতুন। তাদের কাছ থেকে ৮০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। রাকিব বলেন, চন্দ্রা থেকে কড্ডার মোড়ে মূল ভাড়া ২৫০ টাকা। গাড়ী না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে তাকে। কড্ডার মোড়ে এসে সিএনজি ভাড়াও ২০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। আমার বোনাসের অর্ধেক টাকা গাড়ি ভাড়াতেই চলে গেল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।  

বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলা বাসিন্দা রিপন। চন্দ্রা থেকে আসছিলেন পিকআপ যোগে। বাস না পেয়ে পিকআপেও ৬০০ টাকা ভাড়া গুণতে হয়েছে তাকে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পিপুলবাড়ীয়া এলাকার শিহাব ও রুবেল ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে পিকআপযোগে এসেছেন বলে জানান। আবার কড্ডা থেকে অটোরিকশায় পিপুলবাড়ীয়া পর্যন্ত ১২০ টাকা হাঁকা হচ্ছে। যার পূর্বের ভাড়া ছিল ৬০ টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি চাকরিজীবী আসছিলেন ঢাকার উত্তরা থেকে। তিনি রংপুরগামী একটি বাসে এক হাজার ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে এসেছেন বলে জানান। যেখানে মূল ভাড়া মাত্র সাড়ে ৩০০ টাকা! 

কথা হয় সোহাগ, মনিরুল, হাসনা, রুবিনা নামে বেশ কয়েক গার্মেন্টকর্মীর সঙ্গে। তারা বলেন, তিন থেকে চারগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে তাদের বাড়িতে যেতে হচ্ছে।  

এ বিষয়ে একাধিক বাসচালককে প্রশ্ন করা হলে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ট্রাকচালক ছামিদুল, সোহান খান ও চঞ্চল বলেন, ফিরতি পথে খালি গাড়ি যেতে হয়। তাই দিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। একই কথা বলেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকেরাও।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।