মানিকগঞ্জ: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১টি জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট, শেষ মুহূর্তেও যানবাহন এবং যাত্রীর চাপ থাকলেও নির্বিঘ্নে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
বুধবার (২৭ জুন) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের সর্বশেষ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য ছোট বড় মিলিয়ে ১৮টি ফেরি নিয়োজিত রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি এবং কাটা গাড়ি (লোকাল) যাত্রীদের জন্য ২০টি লঞ্চ রাখা হয়েছে। সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকলেও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ ভিজে ভিজে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে চলেছে।
দুপুরের পর থেকে যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপ না থাকলেও ছোট গাড়ির (ব্যক্তিগত গাড়ি) কিছুটা চাপ আছে, চাপ থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যে ফেরিতে উঠে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা।
লঞ্চ মালিক সমিতির ম্যানেজার পান্নালাল নন্দী বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লঞ্চে কাটা গাড়ির বাড়তি চাপ ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চের বাড়তি চাপ কিছুটা কমে এসেছে। সন্ধার পর হয়তো আবার কিছুটা চাপ বাড়তে পারে।
বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া সেক্টরের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক আব্দুল সালাম বলেন, ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহনের কোনো চাপ নেই, তবে ছোট ব্যক্তিগত গাড়ি কিছুটা চাপ রয়েছে। এখন ছোট গাড়িগুলোকে অল্প কিছু সময় অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠতে পারছে। যানবাহনের চেয়ে সাধারণ যাত্রীর চাপ রয়েছেন ঘাট এলাকায়, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য আমাদের ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮টি ফেরি চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এসআরএস