ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ক্রেতার সাধ্যের বাইরে রুপালি ইলিশ! 

মো. নিজাম উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
ক্রেতার সাধ্যের বাইরে রুপালি ইলিশ!  ইলিশ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। এতে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে রুপালি ইলিশ।

 

ক্রেতারা বলছেন, জাতীয় মাছটির যে দাম হাঁকানো হচ্ছে, এতে সাধ্যের বাইরে চলে গেছে।  

আর বিক্রেতারা বলছেন, মেঘনায় ইলিশ মাছ তেমন একটা ধরা না পড়ায় বাজারে ইলিশের আমদানি নেই বললেই চলে। তাই দামও বেশি।  

শুক্রবার (৩০ জুন) রাতে জেলা শহরের পৌর মাছ বাজার, দক্ষিণ তেমুহনী, উত্তর তেমুহনী, ঝুমুর এলাকার মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে মাছ ব্যবসায়ীরা অল্প পরিমাণে ইলিশের পাসরা সাজিয়ে বসেছেন। তাও বেশিরভাগ মাছের আকার ছোট এবং মাঝারি। চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।

এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৮শ টাকা, প্রায় ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি হাঁকাচ্ছেন ১৫শ টাকা করে। আধাকেজি ওজনের ইলিশের দাম ১২শ থেকে ১৩শ টাকা। তিনশ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি কিনতে হবে হাজার টাকার উপরে। জাটকার দাম চাচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।  

লক্ষ্মীপুর পৌর মাছ বাজারের বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, নদীতে মাছ কম, তাই ঘাটে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না। ঘাট থেকেই চড়া দাম দিয়ে কিনতে হয় আমাদের। ফলে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি।  

দক্ষিণ তেমুহনীর মাছ বিক্রেতা শরীফ বলেন, এ সময়টাতে বাজারে ভরপুর ইলিশ থাকতো। তখন দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে হতো। কিন্তু মাছ না থাকায় ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে গেছে।  

লক্ষ্মীপুর শহরের বাসিন্দা রিপন কুমার পাল বলেন, বাজারে ইলিশ কিনতে গিয়ে দাম শুনেই চলে আসছি। যে দাম হাঁকানো হচ্ছে, আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। অন্যান্য মাছের দামও অনেক বেশি।

রামগতি উপজেলার বাসিন্দা ও স্থানীয় সাংবাদিক মিসু সাহা বলেন, নদীর তীরবর্তী এলাকায় আমাদের বাড়ি। নদীতে মাছ ধরা না পড়ায় আমরা মাছ কিনতে পারছি না। বাজারে জাটকার দাম চাচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করে। মেঘনার তীরের বাসিন্দা হয়েও ইলিশ মাছ খাওয়ার সাধ্য নেই। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ ইলিশের স্বাদ ভুলতে বসবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।