ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটে চলছে ব্যবসা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
খুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটে চলছে ব্যবসা

খুলনা: খুলনা মহানগরীর ফুলবাড়ীগেটের জনতা মার্কেটের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এর ভেতরে অবস্থানকারী প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ী চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা।  

মার্কেট ভবনের ছাদ ও চারপাশের দেয়ালের বিভিন্ন অংশে পলেস্তারা খসে পড়ছে।

পিলারে ধরেছে বড় বড় ফাটল। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

শুক্রবার (৩০ জুন) মার্কেটের সেলুনে স্থানীয় এম শফিক নামে এক ব্যক্তি চুল কাটাতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিলিংয়ের কিছু পলেস্তার এবং ঢালাই খোয়া খসে পড়ে গাড়ির ওপর।

ভুক্তভোগী শফিক জানান, দোকানের সামনে সিলিংয়ের ঢালাই খসে পড়ে। এতে মোটরসাইকেলটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মার্কেটের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুলবাড়ীগেটের সব থেকে পুরাতন জনতা মার্কেটটির মালিক শেখ আউয়ুব আলী আনুমানিক ১৯৮০ সালে এ মার্কেটটি নির্মাণ করেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই সন্তান শেখ বাচ্চু এবং শেখ সোয়েব আলী পৈতৃক সূত্রে পাওয়া এ জনতা মার্কেটের জরাজীর্ণ অংশের প্রায় অর্ধ শতাধিক দোকান ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসছে। প্রায় ৪৩ বছর বছর আগের পুরাতন মার্কেটটি এখন বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানকার ব্যবসায়ীদের জন্য। জরাজীর্ণ ভবনে জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করে কিছুটা উপযোগী করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে মার্কেটের ছাদের প্রায় অধিকাংশ অংশের সিলিংয়ের ঢালাই ভেঙে ভেঙে পড়ছে। কয়েকটি স্থানের ছাদ ধসে পড়েছে এবং প্রায় অংশের ছাদের ঢালাই ও পলেস্তাো পড়ে ছাদের পুরাতন রড বেরিয়ে পড়েছে।

মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে না করার শর্তে জানান, মার্কেটের প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানদার চরম  ঝুঁকি নিয়ে এ মার্কেটে ব্যবসা করছেন। এক/দুই বছরের চুক্তিতে ঘর ভাড়া নেওয়ার পর এ মার্কেটে দোকানের ভাড়া কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিপজ্জনক জেনে বুঝেও মার্কেটে থেকে যায়। মার্কেটের বর্তমান যে অবস্থা তাতে যে কোনো সময়ে প্রাণহানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখে দিয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনিটিই আশা স্থানীয়দের।

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্টেট অফিসার মো. শামিম জিহাদ বলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (কেডিএ) ভবন ঝুঁকিপুর্ণ চিহ্নিত করণে একটি কমিটি আছে। যারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ কমিটির প্রধান খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী। বিষয়টি তাদের অবহিত করা হলে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
এমআরএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।