ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রামু পাবলিক লাইব্রেরির সব বই উধাও

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৩
রামু পাবলিক লাইব্রেরির সব বই উধাও ...

কক্সবাজার: দীর্ঘ ছয়-সাত বছর অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকার পর রামু উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির সব বই হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে।  

লাইব্রেরির ভেতরে আট-দশটি বুক সেলফ ও চেয়ার টেবিল থাকলে নেই একটিও বই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই লাইব্রেরিতে তিন হাজারের বেশি বই ছিল। বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে বিষ্ময়ের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালের দিকে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমার আমলে লাইব্রেরির কিছু সংস্কার কাজ হয়েছিল। এরপর অজানা কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রামু পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮৪ সালে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে ঢাকার আতিকুজ্জামান রাসেল নামের এক প্রকাশক ও গবেষক রামু পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শনে গেলে চোখে পড়ে এই দৃশ্য। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে রামু উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।

এ সময় দেখা যায়, লাইব্রেরি কক্ষের পূর্ব পাশের জানালা খুলে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। সামনের দিকে তালাবদ্ধ থাকলেও ওই স্থান দিয়ে অনায়াসে যে কেউ লাইব্রেরিতে ঢুকতে পারে। ভেতরে চেয়ার টেবিল, আলমিরা সব থাকলেও নেই বই।

সরেজমিন দেখা যায়, লাইব্রেরির বুক শেলফগুলো ঘুণে ধরেছে। চেয়ার টেবিলগুলোও নষ্টের পথে। লাইব্রেরির পূর্ব পাশের জানালা, দুটি বৈদ্যুতিক লাইট এবং একটি পাখা খুলে নেওয়া হয়েছে। জানালার পাশে রয়েছে উঁচু সীমানা প্রাচীর।  

নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দা নীলোৎপল বড়ুয়া জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে রামুর একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরির এই হাল হয়েছে। বছরের পর বছর অযত্ন অবহেলায় থাকতে থাকতে এটির চূড়ান্ত মৃত্যু হলো।

তিনি বলেন, গত সাত-আট বছর ধরে লাইব্রেরিটি  অকেজো হয়ে পড়েছিল। বইগুলো কি কেউ সরিয়েছে নাকি চুরি করেছে বোঝা মুশকিল।  

রামু পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর বলেন, দীর্ঘ ২০-২২ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পর্ক নেই। পরিচালনা কমিটি দরকার হলে  যোগাযোগ করেন। চুরির ঘটনা দুঃখজনক। বর্তমান যারা দায়িত্বে আছেন তাদের অবহেলার কারণে এ অবস্থা হয়েছে।

পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাছান ভুইঁয়া বলেন, চুরির বিষয়টি জানার পর আমি সেখানে যাই। কে বা কারা এ কাজ করেছে, বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে,  অনেক আগেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।  

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা দেশের বাইরে আছেন, উল্লেখ করে উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, ইতিমধ্যে ইউএনওকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
 
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার নিরুপম মজুমদার জানান, লাইব্রেরিটি দীর্ঘদিন বন্ধ অবস্থায় ছিল। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৩ 
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।