ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইফার (গোপনীয়) বার্তা ফাঁসের ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এত মানুষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য জীবন দেয়নি। বিদেশিদের এটা জানা উচিত।
তিনি বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা দেশে আসেন দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। কিন্তু অনেক সময় তারা এমন সব কথা বলেন, যা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল। বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিষয়ে প্রশ্ন করা বেখাপ্পা দেখায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, গুম এগুলা সব ভাঁওতাবাজি। বিভিন্ন দেশেই মানুষ হারিয়ে যায়, আবার ফিরেও আসে। আমাদের দেশে গত ছয় মাসে মাত্র একজন নিখোঁজ হয়েছে। অথচ একটি দেশে এক হাজার ৩০০ লোক নিখোঁজ হয়েছে। তারা আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে না।
চীনা ঋণ নিয়ে ড. মোমেন বলেন, শ্রীলঙ্কার ঘটনার সময় অনেকেই বলেছিলেন, বাংলাদেশ চীনা ঋণের ফাঁদে পড়লো। তবে চীনা ঋণ মোট ঋণের ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। আর জাপানের ঋণ ১৭ বিলিয়ন ডলার। আমরা কখনও খামোখা ঋণ নেই না।
তিনি বলেন, আমরা কারো লেজুড় না, আমরা চীনেরও লেজুড় না। আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি রয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে রাশিয়া ও চীনের বিবৃতি নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, তারা কেন বিবৃতি দিয়েছে, তারাই জানেন। তাদের জিজ্ঞেস করলে ভালো হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ডিকাব প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
টিআর/আরবি