ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ময়মনসিংহে মৃত্যুদণ্ড-যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
ময়মনসিংহে মৃত্যুদণ্ড-যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে চাঞ্চল্যকর দুইটি হত্যা ও একটি মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)-১৪। এর মধ্যে একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং অপর দুই জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

     

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুর ১টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন।

এর আগে সোমবার (১০ জুলাই) ঢাকার জয়দেবপুর ও আশুলিয়ায় পৃথক অভিযানে এই আসামিদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।  

আসামিরা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দিলীপ মিয়া (৫৫), যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মোকসুদ (৫২) ও মো. সুরুজ মিয়া (৪৫)।  

র‌্যাব জানায়, ২০০৯ সালে ২২ জুন নান্দাইলে শিশু পারভেজ খুন হন। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে প্রতিবেশী দিলীপ, মোকসুদ ও মুর্তজের বিরুদ্ধে নান্দাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আসামিরা আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে দুই বছর হাজতবাস করে জামিনে মুক্তি পায়।

এরপর আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর প্রকাশ্যে দিনের বেলায় নিহত পারভেজের চাচা বাচ্চুকে কুপিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।    

তবে শিশু পারভেজ হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামি দিলীপকে মৃত্যুদণ্ড ও মোকসুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এরপর থেকেই তারা পলাতক ছিল।  

এছাড়াও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় ২০১২ সালে দায়ের হওয়ায় একটি মাদক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সুরুজ মিয়াকেও গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।    

র‌্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।