ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মিয়ানমারের জেলে আড়াইহাজারের ১২ যুবক, নিহত ১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
মিয়ানমারের জেলে আড়াইহাজারের ১২ যুবক, নিহত ১

নারায়ণগঞ্জ: মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে আড়াইহাজার উপজেলার ১২ যুবককে মিয়ানমার নিয়ে জেলে বন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। তাদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অর্থ চাওয়া হচ্ছে।

জেলখানায় চক্রের সদস্যদের নির্যাতনে আমিনুল (৩৯) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক আহমেদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করে এর বিহিত করবেন।

মিয়ানমারের জেলে বন্দিরা হলেন- উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মো. নাদিম, চৈতনকান্দার সাফায়েত হোসেন, রতন মিয়া, আছান, মো. সফিকুল, মো. রফিকুল ইসলাম উলুকান্দির মো. মনির হোসেন, বিশনন্দীর মো. সজীব, মো. কবির হোসেন, শরিফপুরের মো. জুয়েল, কড়ইতলার মো. বিল্লাল হোসেন, ও বিশনন্দী পশ্চিমপাড়ার মো. সজীব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আড়াইহাজার উপজেলায় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে একটি আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্র ও তাদের স্থানীয় এজেন্টরা। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন গ্রামের অনেক যুবক। দালাল চক্রটি ফুসলিয়ে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে আড়াইহাজার থেকে অনেক তরুণ ও যুবকদের মিয়ানমারে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে ফেলে। এরপর তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চায়। দেওয়া না হলে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ঘটে নির্মম পরিণতি।

উপজেলার কড়ইতলা, রামচন্দ্রদী, মানিকপুর, চৈতনকান্দা, দয়াকান্দা, টেটিয়া ও শম্ভুপুরা থেকে আগেও অনেক তরুণ-যুবককে পাচার করে এ চক্রটি। সে সময় দালালচক্রের জিম্মিদশায় থাকা অবস্থায় আমিনুল (৩৯) নামে এক যুবক নিহত হন। পরে এ ঘটনার আবুল হোসেন নামে দালাল চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আড়াইহাজার থানা পুলিশ।

বর্তমানে যারা মিয়ানমারে বন্দি আছেন তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কাছ থেকে দালালচক্র মোটা অর্থ দাবি করছে। না দেওয়া হলে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগীদের মুক্তির দাবিও করেছেন তাদের মা, বোন, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা।

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিখোঁজ ও জিম্মি ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করেছি। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ওকাপের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার আমরা তাই করবো।

আড়াইহাজার ইউএনও ইশতিয়াক আহমেদ জানান, আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করবো। তিনি যে পরামর্শ দেবেন সেটিসহ প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
এমআরপি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।