নোয়াখালী: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় তিনটি ট্রলারসহ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছে মৎস্য অধিদফতর ও নৌ-পুলিশ।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ট্রলার তিনটিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের বাংলাবাজার ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নদীতে জেলেরা কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ-পুলিশের একটি দল।
এসময় হাতিয়ার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের বাংলাবাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জাল পাতানোর প্রস্তুতি অবস্থায় তিনটি ট্রলার জব্দ করা হয়। ট্রলারে থাকা ১৫ জন মাঝি মাল্লাকে আটক করা হয়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনটি ট্রলারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং জব্দ করা কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
এসময় হাতিয়ার দায়িত্বে থাকা নোয়াখালী সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মণ্ডল, নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিনসহ মৎস্য অফিস ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানস মণ্ডল জানান, মাঝে মধ্যে জেলেরা নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে থাকে। এটা পুরোপুরি অন্যায়। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। অবৈধ কারেন্ট জালসহ নদীতে সব অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজকের অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি সবাইকে আইন মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
আরএ