ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীন- বাংলাদেশ এখন সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদার, যা ফলপ্রসূ ফলাফল ও জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি করে।
মঙ্গলবার সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন এখন চীনা বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে একটি পথ ধরে আধুনিকীকরণের চেষ্টা করছে। চীন শান্তির একটি স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির ওপর জোর দিয়ে বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগকে এগিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরান পরস্পরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু করেছে। ইউক্রেনের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানও নিয়েও কথা বলছে চীন। রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহায়তা করছে৷ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে চীন। একই সঙ্গে চীন ও বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও চীন দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব উপভোগ করছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশি কিশোরী আলিফা চিনের চিঠির প্রতি উত্তর চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়েছে। দুই দেশের উচিত উন্নয়ন সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক সমন্বয় জোরদার করা, এর ফলে বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধিও বৃদ্ধি পাবে।
বক্তৃতা শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীন-ভারত সম্পর্ক, চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, দক্ষিণ চীন সাগর সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানসহ বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর তিন শতাধিক কর্মকর্তা ও বিদেশি সেনা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
টিআর/এসআইএস