ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে অটোচালক রবিন হত্যা: গ্রেপ্তার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
ফরিদপুরে অটোচালক রবিন হত্যা: গ্রেপ্তার ২

ফরিদপুর: ফরিদপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক রবিন মোল্যাকে (২৩) গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগে নাঈম খান (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা জব্দসহ সেলিম (৪২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

নাঈম জেলার সদরপুর উপজেলার মীরের ডাঙ্গী গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে। সেলিম জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার চর অমরাপুর গ্রামের শেখ হালিমের ছেলে।

বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেনে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।  

সংবাদ সম্মেলেনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম জানান, গত ১৫ জুলাই ফরিদপুরের সদর উপজেলার গজারিয়া পাটপাশা ব্রিজের কাছে মেহগনি বাগানের ভেতর থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি শনাক্ত করা হলে এ ঘটনায় জেলার সদরপুর থানার হালিম চৌধুরীর ডাঙ্গী গ্রামের ইকলাছ মোল্যা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  

পর এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে হত্যার অভিযোগে নাঈমকে জেলার চরভদ্রাসন থানার বিএস ডাঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, একই রাতে নিহতের অটোরিকশাটি জব্দ করাসহ সেলিম নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম জানান, নিহত রবিন ও লেগুনাচালক নাঈম একে অপরের পরিচিত। গত ১৫ জুলাই সকালে রবিনের রিকশায় করে ফরিদপুর শহরের পতিতা পল্লীতে আসার উদ্দেশে রওনা দেন। শহরে অটোরিকশা পুলিশে ধরতে পারে, সে কারণে রিকশাটি কোথাও রেখে যাওয়ার কথা বলে।  রবিনকে শহরে পাঠিয়ে দিয়ে কৌশলে রিকশাটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়ে দু’জনে পতিতালয়ে যান। সেখানে থেকে ফেরার পথে বরিন তার রিকশার কথা জানতে চাইলে কৌশলে জেলা সদরের গজারিয়ার পাটপাশা ব্রিজের পাশে মেহগনি বাগানে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে নিহতের দুটি ফোন নিয়ে চলে যান নাইম। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রধান অভিযুক্ত নাইমকে রিকশা ও মোবাইলসহ গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

এদিকে, হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার নাইম ও চোরাই রিকশা ক্রয়কারী আসামি সেলিমকে দুপুরে ফরিদপুরের কোর্টে পাঠানো হলে সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন ওই দুই আসামি। তারা এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন বলেও জানান এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।