ঢাকা: ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস খাতে কর্মরত সাত গ্রেডের সহকারী অপারেটররা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।
তাদের দাবিগুলো হলো:
১. বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে গার্মেন্টস খাতের সপ্তম গ্রেডের সহকারী অপারেটরদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং সাতটি গ্রেডের মধ্যে ৫ম ও ৬ষ্ঠ গ্রেড বিলুপ্তি করা।
২. বাকি অন্যান্য গ্রেডে ১০-১৫ শতাংশ ব্যবধান রেখে নতুন মঞ্জুরি কাঠামো প্রণয়ন করা।
৩. ফুরণ ভিত্তিক বা পিছ রেটের সোয়েটার শ্রমিকদের যে কোনো স্টাইলের কাজ করার পূর্বে প্রতি পিছ কাজের মূল্য ঘোঘণাসহ নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ঘোষিত কোনো গ্রেডের শ্রমিক হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে তা নিয়োগপত্র বা পরিচয় পত্রে নির্দেশ করা।
৪. ফুরণ ভিত্তিক বা পিছ রেটের শ্রমিকদের সাধারণ কর্মঘণ্টার পর ওভারটাইম করানো হলে সেখানে পিছ রেটের দ্বিগুণ রেট দেওয়ার সুস্পষ্ট বিধান গেজেটে উল্লেখ করার নির্দেশনা দেয়া।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির যাতাকলে শ্রমিক জীবন নিষ্পেষিত হচ্ছে। ক্রমাগত বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে শিল্প এলাকায় অস্বাভাবিক বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ায় তাদের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে চারজনের একটি শ্রমিক পরিবারের খাদ্য বাবদ মাসিক ১৬ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া বাবদ ১০ হাজার টাকা, দুই সন্তানের পড়াশোনা বাবদ ন্যূনতম দুই হাজার টাকা, চিকিৎসা খরচ বাবদ দুই হাজার টাকা, যাতায়াত খরচ বাবদ এক হাজার টাকা, বিনোদন বাবদ দুই হাজার টাকা, অন্যান্য এক হাজার ও সঞ্চয় বাবদ এক হাজার টাকা প্রয়োজন। অর্থাৎ, একটি শ্রমিক পরিবারের মাসিক ৩৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হয় ন্যূনতম জীবন ধারণ করতে।
তারা আরও বলেন, বিশ্ব বাজারে দেশের পোশাকখাত রপ্তানির অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখবে যদি শ্রমিক তার ন্যায্য মজুরি পায়।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মো. বজলুর রহমান বাবলু, শ্রমিকনেতা এস দেলোয়ার হোসেন, মাহতাব উদ্দিন শহীদ, সুলতানা বেগম, ইলিয়াস উদ্দিন, তাহমিনা রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এসসি/এসআইএ