খুলনা: খুলনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযানে সুন্দরবনের জলদস্যু আসাবুর বাহিনীর প্রধান আসাবুরসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে লবণচরাস্থ র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল ও মিডিয়া পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, অভিযানে আটকদের কাছ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি, একটি নাইন এমএম পিস্তল ও তিনটি দেশীয় বন্দুক ও চারটি দা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন, বাহিনী প্রধান দাকোপ উপজেলার আয়নাল সানার ছেলে আসাবুর সানা (৪৩), একই এলাকার দিদারুল সানার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ঢালী (৩৭), মো. শাহিন সানা (২৭), একই এলাকার কাওসার সানার ছেলে মো. ইস্রাফিল সানা (২৭), বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার মৃত সামাদ শেখের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম, নড়াইলের নড়াগাতি এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে মো. রাকিব ফরাজি (২২), খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার সামসুর রহমানের ছেলে সোহান মৃধা (১৯) ও বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার আমির আলী শেখের ছেলে মো. আকবর আলী শেখ (২৫)।
আটকদের বিরুদ্ধে খুলনার দাকোপ ও মোংলা থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে দাকোপ থেকে প্রথমে ইসরাফিল ও শাহিনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেড এলাকা থেকে বাহিনী প্রধান আসাবুরসহ অন্যান্যদের আটক করা হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, আসাবুর ও তার বাহিনীর সদস্যরা গত ২৮ জুলাই সুন্দরবনের ভদ্রা নদী থেকে ১৪ জন জেলেকে অপহরণ করে। এ সময় র্যাব অভিযান চালিয়ে ১৪ জেলেকে উদ্ধার করে ও আসাবুর বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আসাবুরসহ অন্যান্য সদস্যদের আটক করা হয়। আসাবুর ও তার সদস্যরা সুন্দরবনের ছোট জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্য ছিলেন। ছোট জাহাঙ্গীর ২০১৯ সালে আত্মসমর্পণ করলেও আসাবুর ও তার সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেননি। তারা দীর্ঘদিন পলাতক থেকে পুনরায় সুন্দরবনে দস্যুকার্যক্রম শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এমআরএম/আরআইএস